বাংলাদেশের ‘জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি মানচিত্র’ প্রকাশ
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে একত্রে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি মানচিত্র’ প্রকাশ করেছে। জলবায়ু, দুর্যোগ ঝুঁকি সক্ষমতা ও মূল্যায়নের জন্য ভূতাত্ত্বিক চিত্র অন্তর্ভুক্ত করে তৈরি করা মানচিত্রটি অবকাঠামো পরিকল্পনা ও নকশা, বিপদ প্রশমন, এবং জলবায়ু ও দুর্যোগ মোকাবিলায় একটি কার্যকর হাতিয়ার হবে।
এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডিবি’র কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজি (সিপিএস) ফর বাংলাদেশ (২০২১-২০২৫) এবং স্ট্র্যাটেজি ২০৩০-এ উল্লেখিত অগ্রাধিকার এবং পরিবেশগত স্থিতিশীলতা ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার জন্য বাংলাদেশের নীতি ও কৌশল এতে প্রতিফলিত হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশনস ১) শিচিন চেন, এডিবির দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক কেনিচি ইয়োকোয়ামা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, এডিবির দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের উপ-মহাপরিচালক মো. মনমোহন প্রকাশ, বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং এডিবির দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের উপদেষ্টা লিপিং ঝেংসহ অন্যান্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দুই খণ্ডের প্রকাশনা—ভলিউম ১ - হ্যাজার্ডস এবং ভলিউম ২ - এক্সপোজার, ভালনারেবিলিটিস অ্যান্ড রিস্ক-এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনার জন্য প্রকল্প ও বিকল্পগুলোর নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করা। এটি ‘জাতীয় উন্নয়ন বাজেটিং কার্যক্রমের মূলধারায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনের জন্য একটি জলবায়ু ঝুঁকি স্ক্রিনিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা’ প্রকল্পের প্রধান প্রকাশনা। এডিবির আঞ্চলিক জ্ঞান ও সহায়তা (সক্ষমতা উন্নয়ন) প্রযুক্তিগত সহায়তা দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের সংক্রান্ত কারিগরি সহায়তা কর্মসূচি (২০১৩-২০১৮) এতে অর্থায়ন করেছে।
পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম প্রধান ড. নুরুন নাহারের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে প্রোগ্রামিং বিভাগ।
আঞ্চলিক প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্পের লক্ষ্য হলো—কম কার্বন এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক উন্নয়নের পথে কার্যকরভাবে রূপান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো পরিচালনায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্প জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর সক্ষমতাকে শক্তিশালী করেছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল এবং কর্ম পরিকল্পনা বিকাশ ও বাস্তবায়নের ক্ষমতা বাড়িয়েছে।
২০২১-২০২৫ সালের জন্য এডিবি সিপিএস প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমনে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু ঘটনা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদগুলোর প্রতি দেশের দুর্বলতা মোকাবিলায় বর্ধিত সহায়তার বিষয়টিতে অগ্রধিকার দিয়েছে।
পানি, নদী ও উপকূলীয় এলাকার সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোকে সরাসরি মোকাবিলা করতে কর্মসূচি সম্প্রসারণ করার সময়, জলবায়ু পরিবর্তনকে সংহত করার জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে বলে এডিবি জানিয়েছে।
এডিবি বলছে—তারা চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।