বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে ৬ কোর্স ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে
ভারতের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে প্রথমবারের মতো ব্যাপকভাবে অন্তর্ভুক্ত হলো বাংলাদেশের সাহিত্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে এ বিষয়ে ছয়টি পূর্ণাঙ্গ কোর্স চালু হয়েছে, সূচিতে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের প্রথিতযশা কবি-সাহিত্যিকদের বই।
এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দুই বাংলার সাহিত্যচর্চা, শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের পক্ষপাত আর বৈষম্য মুছে ফেলার দুয়ার খুলে গেল বলে মনে করছেন দুই বাংলার সাহিত্যিকরা। এর আগে এত উদার হয়ে বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে ভাবেনি ভারতের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের লেখা অন্তর্ভুক্ত থাকলেও এবারই প্রথম এভাবে পূর্ণাঙ্গ কোর্স চালু করা হলো।
জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, হাসান আজিজুল হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ও সেলিনা হোসেনের বিচ্ছিন্ন কিছু লেখা অন্তর্ভুক্ত আছে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হওয়া কোর্সগুলো হলো—বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, কবিতা, উপন্যাস, নাটক, গল্প এবং স্মৃতিকথা, মুক্তিযুদ্ধ ও আত্মজীবনী।
কোর্সের সূচিতে কবিতার বই নির্বচিত করা হয়েছে তিনটি। এগুলো হলো—শামসুর রাহমানের ‘বন্দী শিবির থেকে’, নির্মলেন্দু গুণের ‘হুলিয়া’ এবং শামীম রেজার ‘যখন রাত্রির নাইমা আসে সুবর্ণনগরে’। পাঠ্যসূচিতে নির্বাচিত উপন্যাসও তিনটি। এগুলো হলো—আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘চিলেকোঠার সেপাই’, সেলিনা হোসেনের ‘যুদ্ধ’ এবং শহীদুল জহিরের ‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা’। নাটকের কোর্সেও রাখা হয়েছে তিনটি বহুল আলোচিত নাটক। এগুলো হলো—সৈয়দ শামসুল হকের ‘নুরুলদীনের সারাজীবন’, সেলিম আল দীনের ‘নিমজ্জন’ এবং সাঈদ আহমেদের ‘কালবেলা’।
গল্পের কোর্সে নেওয়া হয়েছে শওকত আলীর গল্প ‘উম্মুল বাসনা’, হাসান আজিজুল হকের ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’ এবং প্রশান্ত মৃধার ‘যুধিষ্ঠিরের সঙ্গী’। এ ছাড়া স্মৃতিকথা, মুক্তিযুদ্ধ ও আত্মজীবনী কোর্সে নেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’ এবং মইদুল হাসানের ‘মূলধারা ’৭১’।