বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে উভয়মুখী যাত্রীর ঢল
ঈদুল ফিতরের চতুর্থ দিনেও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঘরমুখী ও ঢাকাগামী যাত্রীর ঢল অব্যাহত রয়েছে। চলছে ১৭টি ফেরি। আজ সোমবার ভোর থেকে ঘাটে যাত্রীদের আনাগোনা দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় একটু বেশি হলেও দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ এখনও ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরছে।
আজ সোমবার সকাল থেকেই বাংলাবাজার থেকে জরুরি পরিবহণসহ কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের নিয়েই ফেরিগুলো শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া যারা ঈদের আগে বাড়িতে ফিরতে পারেনি, তারা এখন বাড়ি ফিরছে। প্রত্যেক ফেরিতেই প্রচুর যাত্রী রয়েছে। একইসঙ্গে হালকা যানবাহনও রয়েছে। ঘাট এলাকা, ফেরিসহ অন্যান্য যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের তেমন কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি।
ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ঈদ শেষে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। সোমবার সকাল থেকেই লোকাল বাস, মিনিট্রাক, মাইক্রোবাস, থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেলে কয়েকগুন বেশি ভাড়া দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে আসছে যাত্রীরা। পরে ফেরিতে পাড়ি দিচ্ছে পদ্মা। শিমুলিয়া থেকে ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা ফেরিতে হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়ায় আনলোড হতে দেরি হচ্ছে। এতে শিমুলিয়া থেকে পার হওয়া গাড়ির যাত্রী ও শ্রমিকেরা বিপাকে পড়ছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও যাত্রীদের চাপে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে, এই রুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করায় যাত্রীদের ফেরি পার হতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী কর্মকর্তা মাহাতাব হোসেন বলেন, ‘ঘাটে উপচেপড়া ভিড়। জানমালের নিরাপত্তার জন্য এবং কোনো ধরনের দুর্ঘটনা হলে আমরা প্রস্তুত আছি। এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘ফেরি পারাপারের জন্য ঘাটকেন্দ্রিক যেন কোনো সমস্যা বা দুর্ঘটনা না হয়, সেজন্য আমরা পুলিশ মোতায়েন করেছি। চার ঘাটে চার পন্টুন এবং বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে আমরা পুলিশ মোতায়েন করেছি। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলে মেডিকেল টিম যেন এখানে থাকে, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিএ এবং বিআইডব্লিউটিসি এখানে মাইকিং করছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্য যারা আছে, সবাই মিলে আমরা কাজ করছি। কোথাও যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা করছি।’