বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে যাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগ
কর্মস্থলে যোগ দিতে গাদাগাদি করে পার হচ্ছে যাত্রীরা। তাদের সীমাহীন দুর্ভোগের এমন চিত্র কয়েকদিন ধরে দেশের অন্যতম নৌরুট বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাটে। ফেরিতে যাত্রী পারাপারে অন্যতম কারণ লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ। তাই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তবে আজ বুধবার সকাল থেকে রাজধানীমুখী যাত্রীর চাপ কিছুটা কমেছে।
ফেরিতে যেখানে পণ্য আর যাত্রীবাহী পরিবহণ পার হওয়ার কথা, সেখানে জড়ো হয়ে পার হচ্ছে যাত্রীরা। গত দুই দশকেও এমন পরিস্থিতি দেখেনি তারা। বিশেষ করে ঈদ মৌসুমে। তবে ঈদে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও তারা লঞ্চ, স্পিডবোট আর ফেরিতে পার হতো পদ্মা নদী। কিন্তু এবার করোনার কারণে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের একমাত্র ভরসা বাংলাবাজার-শিমুলিয়া আর দৌলদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। তাই যাত্রীদের ক্ষোভও তীব্র। যাত্রীরা লঞ্চ ও স্পিডবোট চালু করার দাবি করে। আর সদরঘাট টু বরিশাল রুটের যাত্রীবাহী সব লঞ্চ বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা এই দুই নৌপথ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে অন্য বছরের তুলনায় চাপ বহুগুণ বেড়েছে বলে ঘাট সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, ‘বাংলাবাজার ঘাটকে দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা যায়। এ কারণে এ ঘাট দিয়ে ২১টি জেলার বিপুল মানুষ পারাপার হয়। ঈদের আগে ও পরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন স্থানে আমাদের ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে। যাতে অন্যান্য জায়গা দিয়ে গাড়ি ঘাটে প্রবেশ করতে না পারে। পুলিশ জনগণকে সহযোগিতা করছে। জনগণ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সে বিষয়ে ঘাটে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা মাইকিং করছে। আমরা বিআইডাব্লিউটিএ, বিআইডাব্লিউটিসি এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে তারা যাত্রীদের সার্বিক সহযোগিতা করছে। যেকোনো প্রয়োজনে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’