সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাকশালের মাধ্যমে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা

Looks like you've blocked notifications!

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলতেই বাকশালের মাধ্যমে সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতির পিতা মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার রাতে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিক উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। কিন্তু বাকশাল বিষয়টিকে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। নির্বাচনে জিততে না পেরে একটি দল কেন বাসে আগুন দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায় সে প্রশ্নও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিক উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আনা সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনা চলছে ৯ নভেম্বর থেকে। রোববার সেই আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে উদ্দেশ্য নিয়ে বাকশাল গঠন করেছিলেন, তা নিয়ে এখনো ভুল ব্যাখ্যা দেন অনেকে।

শেখ হাসিনা বলেন, “জাতীয় সংসদে তাঁর (বঙ্গবন্ধু) যে ভাষণ, সে ২৫ শে জানুয়ারি ১৯৭৫ সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দুর্নীতি, ঘুষ, চোরাকারবারি, মুনাফাখোরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং সংগ্রাম করতে হবে।’ মাননীয় স্পিকার, যে কথাগুলো তিনি বলেছিলেন, একবার চিন্তা করে দেখেন। পুরো জিনিসটাকেই কত উল্টো ব্যাখ্যা দিয়ে, যে একটা চমৎকার পদক্ষেপ তিনি নিলেন বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে, প্রতিটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে, সেটাকে নস্যাৎ করা হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনে যে টাকার খেলা বা অস্ত্রের খেলা বা মাসলের খেলা অথবা ১০টা হোন্ডা বা ২০ হোন্ডা, নির্বাচনটা সে রকম যেন না হয়, সত্যিকারের গণতান্ত্রিক অধিকার যেন মানুষের কাছে পৌছায়, সেই সিস্টেমটা তিনি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা তো তিনি করতে পারেননি। সত্যি কথা বলতে গিয়ে ৭৫-এর পর যারা ক্ষমতা দখল করেছে তারা নির্বাচনে প্রহসন করে করে সিস্টেমটা নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি একটা সিস্টেমে নিয়ে আসতে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে, গেল সপ্তাহে হঠাৎ করেই রাজধানীতে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাও।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর মধ্যে আপনি দেখেছেন, মাননীয় স্পিকার, কোনো কথা নাই, বার্তা নাই হঠাৎ কয়েকটি বাসে আগুন দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস। কেন? কী স্বার্থে? কিসের জন্য? নির্বাচন হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার নামে অংশগ্রহণ করে। টাকাপয়সা যা পায় পকেটে নিয়ে থুয়ে দেয়। ইলেকশনের দিন ইলেকশনও করে না, এজেন্টও দেয় না। কিছুই করে না। মাঝপথে ইলেকশন বয়কট। এরপর বাসে আগুন দিয়ে একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। এটার উদ্দেশ্যটা কী?’

এর আগে রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধু নামে একটি প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্পিকারসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।