বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় যুবলীগের নেতাসহ গ্রেপ্তার তিন

Looks like you've blocked notifications!
কুষ্টিয়ায় বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন ব্যক্তি। ছবি : এনটিভি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ে স্থাপিত ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান, সবুজ হোসেন ও হৃদয় আহমেদ।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত জানান, গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন প্রাথমিকভাবে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের দায় স্বীকার করেছেন। ঘটনার সময় চারজন ছিলেন বলেও তাঁরা জানান। এর মধ্যে বাচ্চু নামের একজন পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাঘা যতীনের ওই ভাস্কর্য ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কুমারখালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন কয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ।

১৮৭৯ সালে কুষ্টিয়ার কয়া গ্রামে জন্ম নিয়েছিলেন বাঘা যতীন। তিনি ভারতবর্ষকে পরাধীনতার শেকল ভেঙে মুক্ত করার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। মাত্র চারজন কিশোরযোদ্ধাকে নিয়ে সাড়ে চার হাজার ব্রিটিশ সৈন্যের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে তিনি মরণযুদ্ধে নেমেছিলেন। সেই যুদ্ধেই নিহত হন ব্রিটিশবিরোধী এ যোদ্ধা।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে পৌরসভার নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পৌরসভার পক্ষ থেকে করা মামলায় পুলিশ সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে ভাঙচুরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুই মাদ্রাসাছাত্রকে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর মাদ্রাসার ওই দুই ছাত্রকে সহযোগিতা করার জন্য মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষক বর্তমানে এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে।