বাজিতপুর পৌর নির্বাচনে হামলার অভিযোগ বিএনপির প্রার্থীর

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌর নির্বাচনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী এহসান কুফিয়া আজ রোববার দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি : এনটিভি

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণায় বাধাদান, প্রার্থী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা-মারধর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী এহসান কুফিয়া। আজ রোববার দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী এহসান কুফিয়া বলেন, গত ২১ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের পর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। ৩০ জানুয়ারি প্রচারণায় ব্যবহৃত অটোরিকশা ও মাইক ভাঙচুর করে। এ সময় কর্মীদের মারধর করে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি আমার সামনেই কর্মীদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা এবং তিনজনকে আহত করে। চলতি মাসের ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে অটোরিকশা ও মাইক ভাঙচুর করে। এ সময় প্রচারণায় বাধা প্রদানসহ কর্মীদের আহত ও একজন সমর্থকের চায়ের দোকান ভাঙচুর করা হয়। গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি আমার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বিএনপির ১২ জন কর্মীকে আহত করে।

এহসান কুফিয়া বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই তাঁর সমর্থক দুই বিএনপি নেতার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ধানের শীষের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাণনাশের হুমকিসহ ভয়-ভীতি প্রদানের কারণে সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে। এসব ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে এ পর্যন্ত ১২টি লিখিত অভিযোগ দিলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থা নেননি।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি আমিরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মনির, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব জসিম মাহমুদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়াসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।