বান্দরবানে ছয়জনকে হত্যা : ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বান্দরবানে ব্রাশফায়ারে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-এমএন লারমা) শীর্ষ নেতাসহ ছয়জনের নিহতের ঘটনায় জেএসএসের (সন্তু লারমা) ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সদর থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন জেএসএস-এমএন লারমা সংগঠনের বান্দরবান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উবামং মারমা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেএসএস-এমএন লারমা সংগঠনের জেলা সেক্রেটারি উবামং মারমা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে এই মুহূর্তে নাম প্রকাশ করা যাবে না।
মামলার বাদী উবামং মারমা বলেন, ‘সংগঠনের নির্দেশনায় দলীয় নেতাদের হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জেএসএস (সন্তু লারমা) গ্রুপের ক্যাডাররা জড়িত। তাঁদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বান্দরবান সদরের রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা বাজারপাড়া এলাকায় ব্রাশফায়ারে জেএসএস-এমএন লারমা গ্রুপের ছয়জনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বিমল কান্তি চাকমা (৬৮), উপদেষ্টা চিংথোয়াইয়াং মারমা ডেবিট (৫৬), বান্দরবান জেলা কমিটির সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গা (৫০), যুব সমিতির সদস্য রবিন্দ্র চাকমা মিলন (৫০), রিপন ত্রিপুরা জয় (৩৫) ও জ্ঞান ত্রিপুরা দিপেন (৩২)।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ডেবিট বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। অন্যরা সবাই খাগড়াছড়ির পানছড়ি, মানিকছড়ি, মহালছড়ি ও গুইমারা উপজেলার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন সংগঠনটির সদস্য খাগড়াছড়ির নিরু চাকমা (৪২), বিদ্যুৎ ত্রিপুরা (৩৩) ও বাঘমারার বাসিন্দা এক কলেজছাত্রী।