বাসের ভেতর স্যুটকেসে মিলল তরুণীর লাশ
ঢাকার আশুলিয়ায় যাত্রীবাহী একটি বাসের ভেতর ফেলে যাওয়া স্যুটকেস থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত তরুণীর নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘সেবা গ্রিনলাইন’ নামের একটি পরিবহন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নবীনগরের ওই পরিবহনের কাউন্টার মালিক মো. লিটন জানান, তাঁদের বাসটি রাজধানীর গাবতলী থেকে গোপালগঞ্জে যাত্রী পরিবহন করে। গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় তাদের কাউন্টারের ১৯ জন যাত্রীসহ মোট ৪০ জন যাত্রী নিয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বাসটি। পরে আরিচা এলাকায় ফেরি পারাপারের পর নবীনগর থেকে ওঠা এইচ-১ সিটের এক যাত্রীকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে তাদের জানায় বাসটির স্টাফরা। পরে বাসটি গোপালগঞ্জের নাজিরপুর পৌঁছালে ওই যাত্রীর বক্সে রেখে যাওয়া একটি কালো রঙের স্যুটকেস পাওয়া যায়।
এ সময় স্যুটকেসটির মালিক না পেয়ে আবারও একই বাসে ঢাকার উদ্দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে গতকাল রাতে গাবতলী থেকে বাসটির চালক লালু মিয়া, সুপারভাইজর সবুজ শেখ ও হেলপার নয়নকে নিয়ে নবীনগরে পাঠায়। এরপর আশুলিয়া থানা পুলিশ ও পিবিআইর কর্মকর্তারা স্যুটকেস খুলে এক তরুণীর গলিত মরদেহ বের করেন।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ জানান, রাতে নবীনগর এলাকায় বাসটির বক্স খুলতেই এর ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। পরে পিবিআই ও পুলিশের উপস্থিতিতে কালো রঙের স্যুটকেসটি খোলা হলে এর ভেতর থেকে এক তরুণীর রক্তাক্ত অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই তরুণীর পরনে কেবল একটি হলুদ রঙের পায়জামা ও অন্তর্বাস ছিল।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুল হক জানান, ওই তরুণীকে হত্যার পর তাঁর লাশ স্যুটকেসে ভরে যাত্রীবেশে কৌশলে বাসের বক্সে রেখে গেছে হত্যাকারী। তবে কীভাবে এবং কেন ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।