বিএনপিকে মানুষ শুধু টিভিতে দেখতে পায় : তথ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সারাদেশের মানুষ দেখছে, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে, মাঠে না গিয়ে আইসোলেশনে থেকে টিভিতে বক্তব্য দেয় বিএনপি।’

আজ সোমবার সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর মন্তব্য- ‘আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই মাঠে আছে, ত্রাণ দিচ্ছে’ এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের মানুষের চোখ-কান আছে, তাঁরা দেখতে পাচ্ছে, কারা মাঠে আছে, কারা ত্রাণ দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক কোটি ২৫ লাখের বেশি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় সাত কোটি মানুষ ত্রাণ এবং অন্যান্য সহায়তার আওতায় এসেছে। এগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘরে বসে বসে ভিডিও কনফারেন্স করে দুনিয়ার কথা বলেন। সেটা টেলিভিশনেই দেখা যায়। অপরদিকে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করছে বিধায় অনেক এমপিসহ বহু নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক নেতা এরইমধ্যে মারা গেছেন, তারা সবাই মাঠে ছিল। সুতরাং আমরা যে কথাগুলো বলেছি সেটি যে সত্য, তা দেশের মানুষ বুঝতে পারে। আর মিথ্যা বলাই যাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য, তাঁরা ক্রমাগত মিথ্যাই বলবে, এটিই স্বাভাবিক।’

‘চিকিৎসার জন্য মানুষকে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরতে হচ্ছে’- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয় মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য। সেখান থেকে রোগী ফেরত দেওয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয়। চিকিৎসা দিতে না পারলে তারা রোগীকে পরামর্শ দিতে পারে। অন্য হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত দেওয়াকে আমি অপরাধ মনে করি। এবং এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে দৌড়াতে দৌড়াতে রোগীর মৃত্যুর দায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।’

করোনা পরিস্থিতিতে বগুড়া ও যশোরের দুটি আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। তারা স্বাধীনভাবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর ভালো ব্যাখ্যা তারাই দিতে পারবেন। যদিও ঢাকা, বগুড়া কিংবা যশোরের পরিস্থিতি এক নয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে মানুষ যে কিছুটা উদ্বিগ্ন সেটাও ঠিক। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়ও আছে। সে কারণেই তারা নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এ প্রেক্ষাপটে আরো কী করা যেতে পারে, কী করা প্রয়োজন সেটি নির্বাচন কমিশনই ভালো বলতে পারে।’