বিএনপির সমাবেশে যা বলছেন কেন্দ্রীয় নেতারা

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে চলছে বিএনপির গণসমাবেশ। ছবি : এনটিভি

রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে গণসমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। আজ শনিবার সকাল সোয়া দশটায় কোরান তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই গণসমাবেশ। মঞ্চে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। এতে ঢাকার স্থানীয় নেতারা শুরুতে বক্তব্য রাখেন। 

জুলুমবাজ সরকার বেশিদিন টিকবে না : আব্দুল্লাহ আল নোমান

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হাত পা ভেঙে দিতে বলেছেন। একটি দেশের সরকার প্রধান এভাবে বলতে পারেন? এ সরকার ভয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। দেশে জুলুমবাজ সরকার বেশিদিন টিকবে না। এ সরকারের পতন ঘটবে। ব্যালটের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন হবে।

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে : ডা. জাহিদ হোসেন

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি উজ্জীবিত। আজ সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। খুব শিগগিরই এ সরকারের পতন হবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে এবং তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবে।  

সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই : টুকু

বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আজ থেকে চার মাস আগে ঘোষণা করা হয়, ঢাকায় ১০ তারিখে আমাদের এই জনসভা হবে। এই জনসভা ঘোষণার পর সরকারি দল পাগল হয়ে গিয়েছিল। আমাদের হুমকি দিয়েছিল, ঢাকায় আমাদের দাঁড়াতে দিবে না। ঢাকার রাজপথ থেকে আমাদের তাড়িয়ে দেবে। আজকে গোলাপবাগ মাঠে ও প্রতিটি জায়গায় আমাদের আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই।

বিএনপির নেতাকর্মীরা শহীদ জিয়ার আদর্শকে ভুলবে না : সালাউদ্দিন

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা যদি মনে করে থাকেন এই দলকে বিনষ্ট করে দেবেন এটা ভুল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একটি নেতাকর্মী জীবিত থাকা পর্যন্ত শহীদ জিয়ার আদর্শকে ভুলবে না। আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দল। প্রমাণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল। আমাদের নেতা তারেক রহমান এই দলকে সুসংঘটিত করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একটি নেতাকর্মী জীবিত থাকা পর্যন্ত শহীদ জিয়ার আদর্শকে ভুলবে না। 

আমরা কী পরাজিত হয়েছি : ব্যারিস্টার অসীম

বিএনপিনেতা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, আমরা নাকি পরাজিত। আমরা কী পরাজিত হয়েছি ? আমরা কী পরাজিত হওয়ার মতো কাপুরুষ। সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আপনারা সমাবেশ করতে বাধ্য করার নামে নারকীয় সন্ত্রাস ও তাণ্ডব করেছেন। আপনারা আমাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। এদেশের মানুষ এই সমাবেশ থেকে শিক্ষা নিবে এবং এ মাসে এই সরকার বাংলাদেশের মানুষের কাছে আত্মসমর্পণ করবে।

দশম সিগন্যাল শুরু হয়েছে : আহমেদ আজম খান

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান বলেছেন, ইতোমধ্যে বিএনপির নয়টি বিভাগীয় সমাবেশ হয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মধ্য দিয়ে সরকারের প্রলয় শুরু হয়েছে। আজকে দশম সমাবেশ নয় বরং দশম সিগন্যাল শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করে নৌকায় ভোট চাইছেন। শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে। এজন্যে কর্মসূচি ঘোষণার পর সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

আমরা লাঠি লগি বৈঠা দিয়ে আন্দোলন করব না : আলাল

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আওয়ামী লীগের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা একটা কাজই করব, সেটা হলো তারেক রহমান লন্ডনে কাঁপুনি ধরে বঙ্গভবনে। আঙুল তুলে লন্ডনে আর গদি নড়ে গণভবনে। সময় থাকতে খালেদা জিয়ার কাছে ক্ষমা চান। আমরা লাঠি লগি বৈঠা দিয়ে আন্দোলন করব না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করব। যখনি ডাক আসবে, সবাই সরকার পতনে ঐক্যবদ্ধভাবে একত্রিত হবেন।            

জীবন দিয়ে হলেও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব : ব্যারিস্টার খোকন

সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘জীবন দিয়ে হলেও বিএনপির কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করব। জিয়ার সৈনিক যে যেখানে থাক, সবাই প্রস্তুত থেক।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে খোকন বলেন, ‘তারা কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলে। বিচার নিয়ে মিথ্যা কথা বলে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজা দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজা দেওয়া হয়েছে। এসব মিথ্যা সাজা প্রত্যাহার করতে হবে। সব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’

সংসদে মানুষের পক্ষে কথা বলা যায় না : রুমিন ফারহানা

রুমিন ফারহানা বলেছেন, উত্তর থেকে দক্ষিণ শুধু মানুষ আর মানুষ। আজকে ১৭ কোটি মানুষ জেগে উঠেছে। আজ পুরো দেশের মানুষ বিএনপির। সরকারের গুম, খুন ও গণতন্ত্র হত্যার কারণে সংসদ থেকে পদত্যাগ করলাম। যে সংসদে মানুষের পক্ষে কথা বলা যায় না, সেই সংসদে থাকতে চাই না। আমরা কথা বলতে চাইলে সংসদে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। আগামীকাল স্বাক্ষর করব।      

বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে : কায়সার কামাল

বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। মানুষ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বাংলাদেশ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে চায়।

কতজনকে আটকে রাখবে, মানুষ জেগে উঠেছে : আফরোজা আব্বাস

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন, আমরা পল্টনে পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার ভয়ে আমাদের করতে দেয়নি। নেতাকর্মীদের আটক করেছে। পুলিশ পাহারা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দিচ্ছে। সাহস থাকলে পুলিশ ছাড়া সামনে আসেন। দেশের ঘরে ঘরে তারেক জিয়া, ঘরে ঘরে মির্জা ফখরুল, ঘরে ঘরে মির্জা আব্বাস। কতজনকে আটক করে রাখবে। দেশের সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে। এ সরকারের পতন আন্দোলন শুরু হবে।       

এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না : সালাউদ্দিন বাবু

বিএনপি নেতা ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু বলেছেন, আওয়ামী লীগ সমাবেশ ইচ্ছামতো করতে পারে; তাদের কোনো অনুমতি নেওয়া লাগে না। আর যখন বিএনপি ও বিরোধীদল সমাবেশ করে, তখন সরকারের ইচ্ছামতো জনসভা করতে দেয়। এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না।

সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায় : নিরব

বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নিরব বলেছেন, এই সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। দেশের মানুষ তারেক রহমানের নেতৃত্বে এক হয়েছেন অধিকার আদায়ের জন্য। সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য।

এই সরকার যত দিন থাকবে ভোট চুরি করতেই থাকবে : ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, শেখ হাসিনা যত দিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন ভোট চুরি করতেই থাকবে। এ সরকার যতদিন থাকবে, দেশের টাকা চুরি করে নিজেদের মোটা তাজা করতে থাকবে। দেশের জন্য কোনো কিছুই করবে না। আজ থেকে এ সরকারের পতনের আন্দোলন চলতেই থাকবে। এক দফা এক দাবি ভোট চোর সরকারের পতন চাই।

সরকার পতনের একদফা আন্দোলন শুরু : হাবিবুর রশিদ হাবিব

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, আজ থেকে খুনি শেখ হাসিনার সরকার পতনের একদফা আন্দোলন শুরু। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তি অন্দোলন শুরু করতে চাই। দেখা হবে রাজপথে। টেকব্যাক বাংলাদেশ।

এই সরকারের পতন শিগগিরই : আ ক ম মোজাম্মেল হোসেন

যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হোসেন বলেছেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তি চাই। শেখ হাসিনার এই সরকারের পতন শিগগিরই হবে। 

গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : সাদেক খান 

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বলেছেন, যতদিন গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্ত না হবে, তত দিন বিএনপির এই আন্দোলন চলবে। আজ ঢাকায় শেষ সমাবেশ। এই যুদ্ধে বিএনপি বিজয়ী হয়েছে। জাতীয়তাবাদী দল বিজয়ী হয়েছে। পরাজিত হয়েছে সরকার। পরাজিত হয়ে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। আমরা প্রশাসনের ভাইদের বলতে চাই, জনগণের মনের কথা জানতে চেষ্টা করুন। র‍্যাবের হেলিকপ্টার ঘুরে লাভ নেই।

আজ থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু : ইশরাক হোসেন

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অবৈধভাবে আটক করে রেখেছে। অবৈধ ফ্যাসিবাদি খুনি সরকার আওয়ামী লীগের রক্ষী বাহিনীকে দিয়ে বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে জনতার বুকে গুলি চালিয়ে নেক্কারজনক পরিস্থিতির সৃস্টি করেছে। আজকে থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হলো। তারেক রহমানের নির্দেশে কোটি মানুষের উপস্থিতিতে এ সরকারের পতন ঘটানো হবে। 

সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়ব : তাবিথ আওয়াল

বিএনপি নেতা তাবিথ আওয়াল বলেন, আমাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়বো। তিনি এছাড়া আরও বলেন, রাজপথে ফয়সালা হয়েই গেছে; এই অবৈধ সরকারকে অবিলম্বে যেতেই হবে। তাদেরকে আমরা চাইনা। আমরা তাদেরকে  প্রত্যাখ্যান করছি। তাদের এই দেশে এক মুহূর্ত থাকার আর কোনো অধিকার নেই। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়বো।

সায়েদাবাদের গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সোয়া দশটায় শুরু হয় এই গণসমাবেশ। মঞ্চে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। এতে ঢাকার স্থানীয় নেতারা শুরুতে বক্তব্য রাখছেন।