বিএনপির সাংসদদের পদত্যাগের আহ্বান গয়েশ্বরের

Looks like you've blocked notifications!
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত আলোচনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়। ছবি : এনটিভি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ২৯ তারিখ রাতের অবৈধ ফসল হচ্ছে আজকের পার্লামেন্ট। রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে যদি আমরা পার্লামেন্টে যোগ দিয়ে থাকি তাহলে আজকে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে যারা আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্টে আছেন তাদের সর্বপ্রথম পার্লামেন্টে পদত্যাগ করে জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নেমে আসা। অন্যথায় জনগণ তা্ পছন্দ করবে না। 

 

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত আর কতকাল বন্দি থাকবে খালেদা জিয়া-নির্দয়ভাবে কত মরবে রুবাইয়াত সারমীন রুম্পারা শীর্ষক আলোচনায় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আমরা পার্লামেন্টে থাকব, আবার সরকারের পতন চাইব- এই শব্দটা কিন্তু জনগণ পছন্দ করবে না। অর্থাৎ আমরা যেটা চাই সেটা জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে হবে যে, আসলেই আমরা সরকারের পতন চাই, তখন জনগণ রাস্তায় রক্ত দেওয়ার জন্য আপনার পাশে দাঁড়াবে। যতক্ষণ আমাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য জনগণের কাছে স্পষ্ট করে বুঝাতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো আন্দোলন দানা বেঁধে উঠবে না।

এখন খালেদা জিয়ার জামিন হবে কি হবে না, তা আদালতের ওপর নির্ভর করে না। এস কে সিনহার যে নির্মম বিদায় তাতে বর্তমানে যারা বিচারপতি আছেন তাঁরাও সাবধান, তাদের পরিণতি এ রকম হোক সেটা তো তাঁরা চাইবেন না। এস কে সিনহার পরে বিচারবিভাগের যে অবস্থা তাতে তাঁরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করতে পারছেন না।

বিএনপির নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য বলেন, কোন দেশে আমরা বসবাস করি? যেই দেশে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন? যার স্ত্রী-সন্তানরা পাকিস্তানের কারাগারে আটক ছিলেন সেই স্বাধীনতার প্রতীক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনগণের নেত্রী আজকে কারাগারে তারপরও কি আমরা এই বদ্ধঘরের মধ্যে শুধু কাথার ফুলঝুরি ছেড়ে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি? সে কারণেই আমাদের বুঝতে হবে, আমরা জেলখানায় আছি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আমাদের জেলখানায় যাওয়ার ভয় পেয়ে লাভ নেই। আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশ, আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে দেশের নির্যাতিত নারীরা, আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে নির্যাতিত মানুষ। আমাদের তাই এই সরকারের পতন ঘটিয়ে এই দেশকে মুক্ত করতে হবে।

নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আওয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহসাংগঠনিক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম প্রমুখ।