‘বিএনপির সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নেই বলেই ইসি গঠন আইনের বিরোধিতা করছে’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘একদিকে, বিএনপির নেতারা নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। অন্যদিকে, তাঁদের কেউ কেউ বলছেন—নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলার দরকার নেই এবং নির্বাচন কমিশন কোনো ফ্যাক্টর নয়। আসলে রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা নেই।’
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ীই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোন সরকারের অধীনে হবে, তা সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘দেশ ও জনগণ নয়, বিএনপির কাছে মুখ্য হলো—যেকোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। ক্ষমতা ফিরে পেতে বিএনপি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের নীলনকশায় জড়িত বলেই কথায় কথায় তারা ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে লুটপাট আর অনিয়মতন্ত্র চালু করে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় পদে পদে বাধা সৃষ্টি করেছে।’
বিবৃতিতে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের বলতে চাই, ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য পাতানো নির্বাচন আওয়ামী লীগ করে না। পাতানো রাজনৈতিক খেলা বিএনপির রাজনৈতিক ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন পাতানো নির্বাচন যারা করেছিল, একই ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান যারা করেছিল, দলীয় লোককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে যারা গোপনে বিচারপতিদের বয়স সীমা বাড়িয়েছিল, তারাই পাতানো খেলা আর গোপন ষড়যন্ত্রের কারিগর। বিএনপি নেতৃবৃন্দ কথায় কথায় ২০১৮ সালের নির্বাচন ও একদশ জাতীয় সংসদ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। অথচ ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন। সে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল এবং দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নিবাচন কমিশনে নিবন্ধিত স্থানীয় ১১৮টি সংস্থার মধ্যে ৮১টি সংস্থা অনুমতি প্রাপ্ত ছিল। সংসদে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিও আছে। তাহলে বিএনপির সংসদ সদস্যেরা কীভাবে নির্বাচিত হলেন?’
ওবায়দুল কাদের নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা বারবার বলে আসছি—তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের উচ্চআদালত কতৃক একটি মীমাংসিত ইস্যু। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতোই সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচন হবে। আমরা মনে করি, নির্বাচন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য শেখ হাসিনা সরকারের যে উদ্যোগ, বিএনপি নেতৃবৃন্দ সরকারের সে উদ্যোগে মূল্যবান মতামত দিতে পারে।’