বিএনপি মুখরোচক কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আজ রোববার রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আয়োজিত জাতীয় স্যানিটেশন মাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি দেশের মানুষকে বিভিন্ন মুখরোচক কথা বার্তার মাধ্যমে বিভ্রান্ত করছে। আজ রোববার রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আয়োজিত জাতীয় স্যানিটেশন মাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি দেশের মানুষকে এখন স্বর্গের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ক্ষমতায় থাকার সময়ে দেশকে তারা নরক বানিয়ে রেখেছিল। যারা দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতায় থেকে আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। এখন তারা নতুনভাবে অনেক রকম মুখরোচক কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, পেশাগতভাবে আমাদের ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু দিন শেষে সবাই এদেশের মানুষ। দেশটাকে নিয়ে অনেক সময় অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সব অপশক্তির ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।

দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানির আওতায় এসেছে উল্লেখ তাজুল ইসলাম জানান, নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সরকারের একটি অগ্রাধিকারমূলক খাত। সবার জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ ও শতভাগ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ লক্ষ্য পূরণে কাজ চলছে। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি ভিরা মেনডোনকা বিশেষ অতিথি ছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, বতর্মানে দেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। একটি দেশের উন্নতি তখনি হয় যখন দেশের সাধারণ মানুষ সচেতন হয়, দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও স্যানিটেশন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্যানিটেশনকে সবসময় সরকার অগ্রাধিকার প্রদান করে আসছে। যার ফলে স্যানিটেশনে দেশের অগ্রগতি দৃশমান।

এ সময়ে ডিপিএইচই’র প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।