বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আওয়ামী লীগ মশকরা করে : গয়েশ্বর
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের লুটপাটের কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেশে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আওয়ামী লীগ মশকরা করে।
আজ শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় গয়েশ্বর এই শঙ্কার কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী তৃণমূল দলের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার লুটেরা গোষ্ঠীর সরকার। জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করছে সংঘবদ্ধ লুটেরা সরকার। খুব অল্প সময়ে ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আওয়ামী লীগ মশকরা করে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করা বিএনপির দাবি। শেখ হাসিনাকে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, সেজন্য তাকে পদত্যাগ করতে হবে। রাজধানীসহ সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামানো বিএনপির লক্ষ্য। তাদের কাছ থেকে জনগণের টাকা ফেরত নিতে হবে।’
সরকারের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘দুর্নীতি, ভোট চুরি, লুটপাটের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করুন। আমাদের দাবি সুষ্ঠু নির্বাচন।’
সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করতে চায়। বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সংঘাত সৃষ্টি করতে চায়। বিএনপির চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অনেক মন্দির ভাঙচুর করেছে সরকার দলীয় লোকজন। সরকারের পতন ছাড়া কোনো মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।’
বুলু বলেন, ‘সরকারের সময় শেষ হয়ে আসছে। ৫২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ কিলোমিটার পাতাল রেলের কাজের উদ্ধোধন করেছে। দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে ঘরবাড়ি তৈরি করছে। দুবাইতে সাড়ে সাতশ বাড়ি কিনেছেন আওয়ামী লীগের লোকজন। সুইজারল্যান্ডে হাজার হাজার কোটি টাকা জমা করছে আওয়ামী লীগের নেতারা। অথচ দুদক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না, তারা খোঁজে বিএনপি নেতাদের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। দুর্নীতি ও অপকর্মের কারণে মানুষ তাদের কাছ থেকে মুক্তি চায়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হানিফ বেপারীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য ইশরাক হোসেন প্রমুখ।