বিচার বিপক্ষে যাওয়ায় ইউপি সদস্যসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম

Looks like you've blocked notifications!

মোংলায় সালিশ বৈঠকে নিজেদের পক্ষে রায় না হওয়ায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে আহত আলমগীর মল্লিকের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মালগাজী গ্রামের পার্থ সরকার (২৫) এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়েন এবং একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পার্থ ওই মেয়েটিকে স্ত্রীর হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে পার্থর সঙ্গে ওই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সালিশে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা মো. তারিকুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মল্লিক, মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল হাওলাদারসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পার্থ তাৎক্ষণিক বিয়ের সিদ্ধান্ত মেনে নেন। কিন্তু বিচার তাদের পক্ষে না যাওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে পথিমধ্যে মালগাজী মিশনবাড়ীর মোড়ে সালিশ বৈঠকে থাকা ইউপি সদস্য ও তাঁর সঙ্গে লোকজনের ওপর হামলা চালায় পার্থ ও তাঁর লোকজন। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনকে জখম করে।

পরে আহতদের উদ্ধার করে রাতেই স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত আলমগীর মল্লিক, রাহাত মল্লিক ও জাহিদ মল্লিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, 'সালিশ মনমতো না হওয়ায় পার্থ ও তাঁর পরিবারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এর মধ্যে আমার ভাই আলমগীর মল্লিকের অবস্থা খুবই খারাপ। রাহাত, জাহিদ ও তাঁকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে।'

এ ঘটনায় মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, 'হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তারা সবকিছু দেখেশুনে এসেছে। অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'