বিজিবি ও বিজিপির যৌথভাবে কাজের সিদ্ধান্ত
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেছেন, মাদকপাচার বন্ধ ও সীমান্তে মিয়ানমারের স্থাপিত স্থলমাইন অপসারণে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিজিপি) যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানানো না হলেও এ বিষয়ের অগ্রগতি ইতিবাচক।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে অনুষ্ঠিত অষ্টম সীমান্ত সম্মেলন পরবর্তী এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। চার দিনব্যাপী মিয়ানমারের রাজধানী নেপিতোতে এ সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
অন্যদিকে ডেপুটি চিফ অব মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের পুলিশ মেজর জেনারেল অং নেইং ঘু-এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ইতিবাচক বলা হলেও সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘একটা বিষয় নিয়ে যখন আলোচনা হয়, তখন যে বলে সে গুরুত্বসহকারে বলে। যিনি বিষয়টি শুনছেন তিনিও কেমনভাবে নিচ্ছেন সেটি বোঝা যায়। আমরা যেসব বিষয় বলেছি তারা প্রত্যেকটি জায়গায় অত্যন্ত ধৈর্যসহকারে শুনেছেন। এসব গ্রহণ করে ইতিবাচক মনোভাব দেখানো আমরা পেয়েছি এবং তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়টা একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া উল্লেখ করে মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, তারা এ বিষয়টা নিয়ে কাজ করছেন। এই দেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, এমন ভিডিও আমরা তাদের দেখিয়েছি। যুব জনগোষ্ঠীকে টেকনিক্যাল শিক্ষা দিয়ে ম্যানপাওয়ারে রূপান্তরিত করছি। যাতে তারা নিজেদের আবাসে ফিরে যাওয়ার পর নিজেদের চালিয়ে নিতে পারেন।’
মিয়ানমারের রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি প্রধান বলেন, ‘আমি মনে করি, সেখানকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তারা বিভিন্নভাবে তাদের আলোচনায় বার বার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেছে। সেখানে তাদের যে সিস ফায়ার চলেছে সেটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে বলে জানিয়েছে। এটা করে তারা সেখানে মানবিক বিপর্যয় রোধ করার চেষ্টা করছে। আগের তুলনায় রাখাইনের পরিস্থাতি ভালো। এটা রোহিঙ্গাদের ফেরতের জন্য ইতিবাচক।’