বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, ছেড়ে দিলেন যুবলীগ নেতা
ঢাকার ধামরাই উপজেলায় এক তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত বিজিবি সদস্যকে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দেওয়ায় যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ করে গ্রামবাসী। কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাতে ধামরাই থানা হেফাজত থেকে ওই যুবলীগ নেতাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এর আগে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নে এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
ওই নেতার নাম সাইফুল শিকদার। তিনি গাংগুটিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটির সদস্য। গাংগুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাতকোড়া গ্রামে তাঁর বাড়ি।
ওই তরুণীর স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত বুধবার রাতে বারবাড়ীয়ার একটি বাড়িতে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টার সময় হাতকোড়া গ্রামের বাসিন্দা বিজিবি সদস্য রুবেল হোসেন এলাকাবাসীর হাতে আটক হন। এ সময় যুবলীগ নেতা সাইফুল এসে রুবেলকে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী সাইফুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পরে এ ঘটনায় ওই বিজিবি সদস্যকে আসামি করে মামলা করা হলেও ছেড়ে দেওয়া হয় আসামিকে পালানোয় সুযোগ করে দেওয়া সাইফুল শিকদারকে।
ভুক্তভোগী তরুণীর নানি অভিযোগ করে বলেন, রুবেল নামের ওই বিজিবি সদস্য তাঁর নাতনির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তাঁকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় এলাকাবাসী রুবেলকে আটক করলেও সাইফুল এসে তাঁকে ভাগিয়ে দেন। পরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সাইফুলকে আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে গেলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেয়। তাঁরা এর বিচার চান।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন আহমেদ বলেন, ‘ওই তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় বিজিবি সদস্য রুবেলকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।’
সাইফুলকে আটক করার পরও কেন ছাড়া হলো তা নিয়ে এসআই রিপন বলেন, ‘এ ঘটনায় সাইফুল সম্পৃক্ত নন বলে ভুক্তভোগী তরুণী লিখিত দিয়েছেন। তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’