বিডিনিউজ সম্পাদককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

Looks like you've blocked notifications!
গত ১১ নভেম্বর দুদক কার্যালয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী। পুরোনো ছবি : এনটিভি

দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে তলব করে চিঠি দেয় দুদক। তাঁকে ১১ নভেম্বর দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়। চিঠিতে বলা হয়, তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজের এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হিসাবে ‘বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন এবং বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে তাঁর বক্তব্য জানা প্রয়োজন।

তবে সময় চেয়ে আবেদন করেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী। এ জন্য ১১ নভেম্বর তিনি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন। আবেদনের পর পুনরায় তলবি চিঠি ইস্যু করেন সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

১১ নভেম্বর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। আমার যেহেতু কিছু মালিকানা (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে) ছিল। সেটার একটি অংশ আমি বিক্রি করেছি। সেটা থেকে কিছু টাকা আমার অ্যাকাউন্টে এসেছে। ৩ অক্টোবরে কাগজপত্র সই করা হয়েছে, ৬ অক্টোবর আমার অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে। সেই টাকার যে আয়কর দিতে হবে, তা আমি দেব। ২০১৯-২০ অর্থবছরের যে আয়কর হবে, আমি সেটা দেব। আমাকে কেউ কোনোদিন বলতে পারবে না যে আমি ঠিকমতো আয়কর দিই না।’

খালিদী বলেন, ‘যেটা হয়েছে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। সেই বিনিয়োগের একটি অংশ হচ্ছে, আমরা নতুন শেয়ার ইস্যু করে তাদের কাছে দিয়েছি। (অন্য অংশ হলো) আমার অল্প মালিকানায় যেটা আছে, সেটার একটা অংশ বিক্রি করেছি। তাতে আমার একেবারে সম্পদহীন অবস্থা থেকে সম্পদ তৈরি হয়েছে, এতে অবৈধ সম্পদ অর্জন কী করে হলো?’

এ বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল, সেই ব্যাপারে কমিশনে একটা অনুসন্ধান চলমান আছে। কোনো অভিযোগ এলে কমিশন তা যাচাই-বাছাই করে সেটি অনুসন্ধান করে থাকে। আশা করি অনুসন্ধান করে প্রকৃত বিষয় বেরিয়ে আসবে।’