বিধিনিষেধের মধ্যে যাচাই-বাছাই করা যৌক্তিক : ডিএমপি

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)

লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে যাতায়াতের সময় যারা পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকেই যাচাই-বাছাই করা একটি যৌক্তিক বিষয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।  

লকডাউনের প্রথম দিন গতকাল বুধবার কর্মস্থলে বেরিয়ে জরুরি কাজে নিয়োজিত কয়েকজন পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ করেন। এর মধ্যে কয়েকটি অভিযোগ ভাইরালও হয়ে যায়, যা ডিএমপির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে।  

বিজ্ঞপ্তিতে রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেট এলাকার একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ‘জাহাঙ্গীর গেট এলাকার এক ঘটনায় সম্মানিত একজন নাগরিক নিজ বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য বের হলে কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় স্মরণীসহ বেশ কয়েকটি চেকপোস্টের মুখোমুখি হন। এতে স্বভাবতই হাসপাতালে পৌঁছাতে তাঁর দেরি হচ্ছিল। জাহাঙ্গীর গেট সংলগ্ন চেকপোস্টে তিনি ৩০ সেকেন্ডের মতো আটকে ছিলেন বলে জানান।’

‘যাতায়াতের সময় যারা আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকেই যাচাই-বাছাই করা হয়েছে; যেটি চলমান বিধিনিষেধের পরিপ্রেক্ষিতে যৌক্তিক একটি বিষয়।’

আরেকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি জানায়, ‘কাওরান বাজারে পুলিশ একটি প্রাইভেটকারের ড্রাইভারকে বাইরে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি গাড়িটি জনৈক চিকিৎসকের বলে বর্ণনা দেন। কিন্তু চিকিৎসক গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। ড্রাইভার উক্ত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হওয়ায় গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। কিন্তু গাড়ির কাগজপত্রে বর্ণিত গাড়ির মালিকের সঙ্গে বর্ণিত চিকিৎসকের সামঞ্জস্য না থাকায় ড্রাইভারের বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।’

বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে শুরু থেকেই সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে পুলিশ মাঠে রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘করোনার বিস্তার রোধে একদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মানিত নাগরিকগণের অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে চলেছেন পুলিশের সদস্যরা।… বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়া ব্যক্তি এবং বিভিন্ন পরিষেবায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা কষ্টকর কাজ। কেননা কিছু কিছু ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া গাড়ি নিয়ে বের হওয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশকে সারাদিনই গলদঘর্ম হতে হয়েছে।’

পুলিশের কাজে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য নাগরিকদের অনুরোধ করেছে ডিএমপি। পুলিশ দায়িত্ব পালনে ‘কোনো ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলেও জানিয়েছে ঢাকা মহানগরীর দায়িত্বপ্রাপ্ত এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।