বিনিয়োগ বাড়বে, উন্মোচন হবে নতুন দিগন্তের : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশে নতুন নতুন বিনিয়োগ হবে, সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থানের। ফলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে।’
আজ শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করেন। রীতি অনুযায়ী, প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক অংশ নেন। সেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবেরাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বাজেট বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারের আয় বাড়ানোর পদ্ধতি ও পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতি প্রথমে কিছুটা হোঁচট খেলেও আমরা এটি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে আমরা অর্থনীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের অর্থনীতি এখন এগিয়ে চলেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়টিকে জোর দিতে গিয়ে বেসরকারি খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী গতকাল ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার বাজেটের ব্যয় বেড়েছে ১২ ভাগ।
বাজেটে মোট ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। এই হার গত বাজেটে ছিল ৬ দশমিক ১ শতাংশ। বাজেটের এই ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া বৈদেশিক উৎস থেকে এক লাখ এক হাজার ২২৮ কোটি টাকা সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে।
এবারের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ ধরা হয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া এবার উন্নয়ন ব্যয়ও বাড়ানো হয়েছে শতকরা ১৪ ভাগ। এবার উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় এবার ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। গোটা বাজেটের মতোই পরিচালন ব্যয়ও বাড়ানো হয়েছে প্রায় ১২ ভাগ।
ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেটে অর্থ সংগ্রহের জন্য রাজস্ব খাতের আয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৩০ হাজার ৭৮ কোটি। কর আদায় হবে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা।