বিশুদ্ধ পানির জন্য গভীর নলকূপ, হুমকিতে চট্টগ্রাম

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রামে যত্রতত্র গভীর নলকূপের কারণে ভূমিধসের আশঙ্কা। ছবি : এনটিভি

চট্টগ্রামে বিশুদ্ধ পানির সংকট যেন কাটছেই না। ওয়াসা থেকে চাহিদা অনুযায়ী পানি না পাওয়ায় গভীর নলকূপ স্থাপন করছে চট্টগ্রামের বহু শিল্প-কারখানা। আর এভাবে ভূগর্ভের পানি তুলে নেওয়াকে বিপজ্জনক উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব এলাকায় যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিধস হতে পারে। এ অবস্থায় সাগরের পানি ব্যবহারে উপযোগী করা এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শিল্পাঞ্চলে আছে কয়েকশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ত্রিশটির বেশি স্টিল ও রি-রোলিং মিল। দেশের সিংহভাগ রড উপাদনকারী এসব কারখানায় প্রতিদিন প্রয়োজন কোটি কোটি লিটার পানি। এত পানি সরবরাহ করার সক্ষমতা নেই চট্টগ্রাম ওয়াসার।

সীতাকুণ্ডের মোস্তফা হাকিম গ্রুপের পরিচালক মো. সরওয়ার আলম বলেন, একেকটি স্টিল বা রি-রোলিং মিলে দিনে আকারভেদে দেড় লাখ থেকে ষাট লাখ লিটার পর্যন্ত পানির প্রয়োজন পড়ে। ফলে গভীর নলকূপেই নির্ভর করতে হচ্ছে এসব শিল্প মালিকদের। এর বাইরেও অনেককে খাল ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইকবাল সারওয়ার বলেন, মিল কারখানার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ওয়াসার সরবরাহের অতিরিক্ত পানির প্রয়োজন হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান এই পানির চাহিদা মোকাবিলায় এখনই স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তাই পানির বাড়তি চাহিদা মেটাতে বৃষ্টির পানির পাশাপাশি সাগরের পানি ব্যবহার উপযোগী করার উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফয়জুল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৬০ লাখের বেশি। আমাদের হিসেবে এসব মানুষের জন্য প্রতিদিন পানির প্রয়োজন ৪০ কোটি লিটার। কিন্তু এই চাহিদার বিপরীতে আশি হাজার সংযোগের মাধ্যমে প্রায় পুরোটাই সরবরাহ করতে আমরা সক্ষম। তবে এটা ঠিক যে, সঞ্চালন লাইনের সমস্যার কারণে কিছু এলাকায় পানি সংকট রয়েছে।