বিসিএস পরীক্ষা ও আবেদনের তারিখ পেছানো হবে : শিক্ষামন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি : এনটিভি

বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, আমরা আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা শুরু ও ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসব খোলার পর বিসিএস পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদনের তারিখ ও পরীক্ষার তারিখ পেছানো হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের তারিখে যেসব শিক্ষার্থীর বয়সসীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাবে তাদের বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। কেউই যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, আমরা অবশ্যই সেদিকে খেয়াল রাখব।’

আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আমরা সেদিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। কারো বয়স শেষ হলে তাকে আবেদন করা থেকে বঞ্চিত করা হবে না। যোগ্যরা যেন আবেদন করা থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখা হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিসিএস পরীক্ষা ও আবেদনের সময় নির্ধারণ করা হবে। এজন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে সব বিসিএসের আবেদন ও পরীক্ষার সময় বাড়ানো হবে।

এ সময় কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন ও হলের ফটকের তালা ভাঙার ঘটনায় নিন্দা জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এক শ্রেণির মানুষ বর্তমান সরকারকে নানাভাবে ঝামেলায় ফেলার চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে তাদের মতাদর্শের কিছু শিক্ষার্থীদের দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ থাকা আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতে উসকে দেওয়া হচ্ছে।’

এ সময় দীপু মনি যেসব শিক্ষার্থী হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেছে তাদের অবিলম্বে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। হল ত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনার পরিস্থিতির কারণে শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা বিশ্বে শিক্ষা ব্যবস্থায় সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে এগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। এখন কোনো কোনো শিক্ষার্থী বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতির নেওয়ার জন্যও হলে ওঠার চেষ্টা করছে। আমরা এসব বিষয় বিবেচনা করছি।’

নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। পরে গত জুলাই থেকে অনলাইন, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিকল্প শিক্ষাদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা ছাড়া অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। তবে কওমি মাদ্রাসাগুলো আরো আগেই খুলে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমে আসা ও টিকাদান কার্যক্রম শুরুর প্রেক্ষাপটে কর্তৃপক্ষ স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।