বিস্ফোরণে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ছবি : এনটিভি

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মারা যান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওন। এই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা। একইসঙ্গে শাওনের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানববন্ধন করেছেন তারা।

আজ বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে জবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনটির আয়োজন করে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, তিতাসের গ্যাস লাইনে দীর্ঘদিন ধরে লিকেজ ছিল। সেখানে ওয়াসার কাজ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণেই শাওনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এটাকে আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু বলতে পারি না, এটি একটি হত্যাকাণ্ড।’

মানববন্ধনে জান্নাত মেহেবুবা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এ দুর্ঘটনার দায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। তাদের অসাবধানতার জন্য আমাদের ভাইকে হারাতে হল। আমরা এর বিচার চাই। শাওনের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ চাই।’

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, ‘অনেক স্বপ্ন নিয়ে শাওন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। টিউশন করিয়ে সে পড়ালেখার খরচ চালাত। কিন্তু, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই আজকে আমাদের শাওনকে হারাতে হল। পরিবারের একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তার বাবা-মা এখন পাগল প্রায়। আমরা চাই শাওনের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।’

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ধূপখোলার বিস্ফোরণের ঘটনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাওন নিহত হয়েছে। সে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চার দিন আইসিইউতে ভর্তি ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাওন মারা যায়। আসলে এ ধরনের মৃত্যু কাম্য নয়। এ ঘটনায় গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। আমরাও চাচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করতে।’

উল্লেখ্য, গত ১ মে সকালে গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের সময় শাওন ঘটনাস্থলেই ছিলেন। বিস্ফোরণে এই শিক্ষার্থীর শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়। সেদিনই তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। গত ৬ মে সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাওনের মৃত্যু হয়।