বিয়ের তথ্য ‘গোপন’ : কণ্ঠশিল্পী মিলা ও তাঁর বাবার জামিন
আগের বিয়ের তথ্য গোপন করে প্রতারণা করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কণ্ঠশিল্পী তাশবিহা বিনতে শহীদ মিলা ও তাঁর বাবা শহীদুল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।
আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে দুজন আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিনের আদেশ দেন।
মিলার আইনজীবী তাপস চন্দ্র দাস বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী বলেন, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছিলেন মিলার সাবেক স্বামী এস এম পারভেজ সানজারী। পরবর্তী সময়ে ৬ ফেব্রুয়ারি একই আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জসিম মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আজকে মিলা ও তাঁর বাবাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। সে নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতেই তারা আজ আদালতে হাজির হন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বাদী জানতে পারেন, তাঁর সাবেক স্ত্রী মিলা ২০০২ সালের ৩১ জুলাই অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম নুরুল হুদার ছেলে আবির আহম্মেদকে বিয়ে করেন। মিলা ও তাঁর বাবা শহীদুল ইসলাম ওই বিয়ের তথ্য গোপন করে প্রতারণা করেন। এ ছাড়া, প্রথম বিয়েতে জন্ম তারিখ ১৯৮৪ সালের ২৬ মার্চ উল্লেখ করলেও বাদীর সঙ্গে বিয়ের সময় ১৯৮৫ সালের ২৬ মার্চ উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী আরো উল্লেখ করেন, তিনি ২০১৭ সালের ১২ মে মিলাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর বুঝতে পারেন, মিলা বদমেজাজি, অহঙ্কারী, নেশাগ্রস্ত ও অনৈতিক চরিত্রের অধিকারী। এ কারণে তাদের মধ্যে দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। সেই সুযোগে মিলা ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর যৌতুক আইনে বাদীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় বাদী গ্রেপ্তার হয়ে জামিন পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি মিলাকে তালাক দেন।