বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় জেয়াদ আল মালুম

Looks like you've blocked notifications!
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমের দাফন আজ রোববার বিকেলে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমের দাফন শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়।  

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দুপুর ১২টার দিকে জেয়াদ আল মালুমের মরদেহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। সেখানে একটি জানাজা হয়। দুপুর দেড়টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে তাঁর আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

দুপুর ২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জেয়াদ আল মালুমের মরদেহ রাখা হয়। এরপরে বিকাল ৪টার পর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয় বলে জানান তাপস কান্তি বল।

গতকাল শনিবার রাতে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম (৬৭) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

গত ২৫ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীকে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের শুরু থেকেই জেয়াদ আল মালুম প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। যেখানে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপিনেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন জেয়াদ আল মালুম ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

টাঙ্গাইল সদরের করোটিয়ায় জন্মগ্রহণকারী জেয়াদ আল মালুম ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৮৩ সালে তিনি ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। সেই থেকে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।