বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে

Looks like you've blocked notifications!

ঢাকার শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন পেশ করেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) রফিকুল ইসলাম খান গতকাল সোমবার রাতে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পেশ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৯ জুন রাজধানীর সদরঘাটের কাছে শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ‘এমভি ময়ূর-২’-এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমএল মর্নিং বার্ড’ পানিতে ডুবে যায়। মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা লঞ্চটিতে শতাধিক যাত্রী ছিল। এ ঘটনায় ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

লঞ্চডুবির এ ঘটনা তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের সময় দিয়ে ওই দিন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

তদন্ত কমিটিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) রফিকুল ইসলাম খানকে আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা) রফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়। কমিটিকে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা সংস্থাকে শনাক্তকরণ এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

ঘটনার দিন রাতেই নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ শামসুল আলম বাদী হয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন এমভি ময়ূর-২-এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা ও জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন, সুকানি নাসির মৃধা ও মো. হৃদয়। গত সাত দিনে কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। সব আসামি পলাতক।