জাতীয় পতাকার বিকৃতি

বেরোবির উপাচার্যসহ ৯ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। ফাইল ছবি

জাতীয় পতাকা অবমাননা ও বিকৃতি করে প্রদর্শনের ঘটনায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহসহ নয়জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শওকত আলী এ নির্দেশ দেন।

রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট পরিদর্শক নাজমুল কাদির এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আদালত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের আদেশ আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি।’

এর আগে গত ‌১৬ ডিসেম্বর জাতীয় পতাকা বিকৃত করে বিজয় দিবস উদযাপন করেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষকেরা। জাতীয় পতাকার নকশা অনুযায়ী সবুজের মধ্যে লাল বৃত্ত থাকার কথা থাকলেও তাদের পতাকার মধ্যে ছিল চারকোনা আকৃতির লাল বর্গ।

বিজয় দিবসে নিজেদের মতো করে তৈরি করা জাতীয় পতাকা নিয়ে ক্যাম্পাসে তোলা ছবি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন বেরোবির বেশ কয়েকজন শিক্ষক। এই শিক্ষকদের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ জানিয়েছেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও।

ছবিতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান, বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামীম হোসাইন, ইতিহাসের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোহাগ আলী, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাসুদুল হাসান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রাম প্রসাদ, সহকারী অধ্যাপক কাইয়ুম এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক রহমতউল্লাহ তাদের মতো করে বানানো পতাকা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন।

জাতীয় পতাকার নকশা বিকৃতি করার ঘটনায় গত শুক্রবার জেলা প্রশাসক আসিব আহসান তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির প্রধান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী। অপর সদস্যরা রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের একজন প্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু। তিন কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহসহ ছয়জন শিক্ষক-কর্মচারীকে অভিযুক্ত করে গত বৃহস্পতিবার তাজহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক ও শিক্ষক-বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান।

অপরদিকে একই ঘটনায় তাজহাট থানায় নয়জনকে আসামি করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ।