ব্যাংক লেনদেনে মিথ্যা তথ্য দিলে জেল-জরিমানা
ব্যাংক লেনদেনের সময় মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস আইন, ২০২১ নামে নতুন এ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনের এ খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, বর্তমানে ব্যাংকে পেমেন্ট এবং সেটেলমেন্টের ক্ষেত্রে কোনো আইন নেই। এগুলো কিছু রেগুলেশন দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। এখন অধিকাংশ ব্যাংকে ডিজিটাল লেনদেন হচ্ছে। ফলে একটি নতুন আইনের প্রয়োজন দেখা দেয়। প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় ৪৭টি ধারা রয়েছে। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা এ খসড়া আইনে যুক্ত করা হয়নি।
খসড়া আইনে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির বিধানের কথা উল্লেখ করে সচিব বলেন, খসড়ায় ব্যাংক, কোম্পানির মাধ্যমে গৃহীত বা সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে এ কোম্পানির মালিক, পরিচালক, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের পদ থেকে অপসারণের বিধান রাখা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কীভাবে লেনদেন হবে, পরিশোধ হবে, পরিচালনা হবে এবং সেবা কীভাবে দেওয়া হবে, সেগুলো খসড়া আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দিতে পারবে। তবে মিথ্যা তথ্য, মিথ্যা বা জাল দলিল বা বিবৃতি দিলে অনধিক তিন বছরের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের কথা বলা হয়েছে আইনের খসড়ায়। আইনের খসড়ায় নগদ, বিকাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।