ব্রজমোহন কলেজের প্রাচীর ভেঙে জমি দখলের অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের প্রাচীর ভেঙে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ছবি : এনটিভি

বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের প্রাচীর ভেঙে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তবে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,  ১০-১২ দিন আগে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হলের পুকুর সংলগ্ন নিজের কেনা জায়গায় ভবন নির্মাণ শুরু করে সোনালী ব্যাংক বরিশালের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে পর্যাপ্ত বালু রাখলে ব্রজমোহন কলেজের সীমানা প্রাচীর ভেঙে যায়। এরপরেই সীমানা প্রাচীরের সঙ্গে থাকা কলেজের পুকুর চার থেকে পাঁচ হাত দখলে নিয়ে নেয়। এ কারণে কলেজের ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হলের ছাত্র শোভন মিঞা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে সকালবেলা আমাদের কলেজের প্রাচীর ভেঙে পড়ে। জানতে পারি, ভবন নির্মাণের মালামাল দিয়ে প্রাচীরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এরপর বালু দিয়ে ভিতরে আরও কয়েক হাত পর্যন্ত আমাদের হলের পুকুরের কিছু অংশ দখলে নেওয়া হয়েছে।’

মারুফ নামে আরেক ছাত্র বলেন, ‘কলেজের জমি যে যেখান থেকে পারছে দখল করছে। কলেজের প্রাচীর ভেঙে কেন ভবন নির্মাণ করতে হবে। কলেজ প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ আশা করছি এখানে।’

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঐতিহ্যবাহী সরকারি ব্রজমোহন কলেজের কত একর জমি যে মানুষ দখল করেছে তার তো কোনো হিসাব নেই। এখন সবার সামনে দিন-দুপুরে জমি দখল করছে। এর প্রতিকার ও দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।

কলেজের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন ভবন নির্মাণকারী জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে সেখানকার লেবার সর্দার মো. হানিফ বলেছেন, ‘দুই দিন আগে এ প্রাচীর ভেঙে পড়েছে, ওটা আবার নির্মাণ করে দেবেন মালিক।’

সরকারি ব্রজমোহন কলেজের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শাহরিয়ার কিবরিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। আমরা পরিদর্শন করে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেই ব্যবস্থাই গ্রহণ করবো।’

ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘যে ব্যক্তি ভবনটি নির্মাণ করেছেন তিনি আমাদের কাছে এসেছিলেন। প্রাচীর যে ভেঙে পড়েছে সেটি নির্মাণ তিনি করে দেবেন। তবে প্রাচীর ভেঙে পড়ার পাশাপাশি জমি দখলের কোনো বিষয় থাকলে সে ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’