ভারতে নির্যাতনের শিকার মেয়েকে দ্রুত ফেরত চেয়েছেন স্বজনেরা

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁর মা। ছবি : এনটিভি

সম্প্রতি ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা ওই তরুণী প্রায় এক বছর আগে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর সূত্র ধরে পরিবারের সদস্যরা ওই তরুণীকে শনাক্ত করেন।

ভিডিওর সূত্র ধরে গতকাল শুক্রবার ব্যাঙ্গালুরুতে সেখানকার পুলিশ ঘটনার মূল হোতা রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়সহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে দুইজন নারীও রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত ছয়জনের মধ্যে দুই যুবক পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন।

ওই তরুণীকে অপহরণ ও তাঁর ওপর এমন বর্বরোচিত নির্যাতনের ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরে চরম ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত তাঁর মা, আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া-প্রতিবেশী। সবাই ওই তরুণীকে দ্রুত উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।   

নির্যাতিত তরুণীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে এতদিন কোথায় ছিল আমরা জানতাম না। এখন মেয়েকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হোক এবং যারা অত্যাচার করেছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। সরকারের কাছে আমার এই চাওয়া।’

একই দাবি জানিয়েছেন বাড়িতে থাকা ওই তরুণীর দুই চাচাসহ অন্য স্বজনেরা।

ওই তরুণীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২৫ বছর ধরে ওই তরুণীর পরিবার ঢাকায় মগবাজারে বসবাস করত। তার বাবা ঢাকায় ফুটপাতে ফলের শরবত বিক্রি করতেন। সাত বছর আগে মগবাজার এলাকার বাসিন্দা চাঁদপুরের এক ছেলের সঙ্গে প্রেম করে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। তাদের তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে।

প্রায় দেড় বছর আগে মেয়েটি মগবাজারে তার স্বামীর বন্ধু ঘটনার মূলহোতা রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়ের প্ররোচণায় দুবাই যাওয়ার মনস্থির করেন। সম্ভবত টিকটক হৃদয় ও তার বন্ধুদের ফাঁদে পা দিয়েই ওই তরুণী ভারতে পাড়ি জমায় বলে ধারণা পুলিশের।

এ ঘটনায় ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা। এ ছাড়া বেঙ্গালুরুতেও ধর্ষণ, নির্যাতন ও অন্যান্য অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়েছে ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে।