ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতনে চারজন রিমান্ডে

Looks like you've blocked notifications!
মানবপাচার মামলায় আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরা আসামি সাহিদা বেগম (বা থেকে ক্রমান্বয়ে), মো. আব্দুর রহমান শেখ ওরফে আরমান শেখ, মো. ইসমাইল সরদার ও চক্রের ‘মূলহোতা’ আশরাফুল ইসলাম ওরফে বস রাফিকে রিমান্ডে দেন। ছবি : এনটিভি  

টিকটকের মডেল বানানো ও ভারতে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভনে নারীপাচারের চক্রের সঙ্গে জড়তি অভিযোগের মামলায় চারজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরা এই আদেশ দেন।

রিমান্ডকৃত আসামিরা হলেন- চক্রের ‘মূলহোতা’ আশরাফুল ইসলাম ওরফে বস রাফি, রাফির নারী সহযোগী সাহিদা বেগম ওরফে ম্যাডাম সাহিদা (৪৬), মো. ইসমাইল সরদার (৩৮) ও মো. আব্দুর রহমান শেখ ওরফে আরমান শেখ (২৬)।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) ফরিদ মিয়া গণমাধ্যমকে জানান হয়, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক পাঁচদিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। 

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী শহর বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশের তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে সে দেশের পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারের এ খবর জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশও। এ ঘটনায় দুই দেশেই মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় গত ২৭ মে ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা ডিএমপির হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার আইন ও পর্নোগ্রাফি অ্যাক্টে একটি মামলা করেছেন। এরপর বিভিন্ন স্থান থেকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে চারজনকে আজকে রিমান্ডে নেওয়া হলো।

অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের শিকার এক তরুণী রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতেই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী দাবকপাড়া কালিয়ানী এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর মধ্য দিয়ে এই ঘটনায় ভারতে মোট ছয়জন এবং বাংলাদেশে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।