ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে যাতে আতঙ্ক তৈরি না হয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এখন অনন্য উচ্চতায় আমাদের এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তবে দুদেশের সোনালি সম্পর্কের মধ্যেও কোনো কারণে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক তৈরি না হয়, ভারতের কাছে এমনটাই আমরা প্রত্যাশা করি।’

আজ শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। বিচারপতি শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন মানবাধিকার নেত্রী অ্যারোমা দত্ত, ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মী জুলিয়ান ফ্রান্সিস, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির প্রমুখ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিন কোটি মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। এদের মধ্যে এক কোটি মানুষ আমাদের ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। কাজেই ভারতের অবদান ও সহযোগিতা ছাড়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পূর্ণ। তবে কোনো কারণে আমাদের এ সম্পর্কে অবিশ্বাস তৈরি না হয়, সেদিকে উভয় দেশকেই খেয়াল রাখতে হবে।’

রীভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্ক ছিল, ভবিষ্যতেও সেই সম্পর্ক অটল থাকবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এ সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে বেশ সচেতন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, প্রতিবেশী প্রথম। আর প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে।’