ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৫৬ শিক্ষার্থীর ভর্তিতে বাধা নেই
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ৫৬ শিক্ষার্থীর ভর্তি নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। তাদের বোনেরা ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের করা পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ সোমবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
শিশুদের অভিভাবকদের করা পৃথক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে ৫৬ শিক্ষার্থীকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি নিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে পৃথক চারটি আবেদন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আবেদনগুলো আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আজ শুনানির শেষে আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ শুনানি করেন। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, এ বি এম আলতাফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ শুনানি করেন; সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শফিকুর রহমান।
অভিভাবকদের করা রিটগুলোর আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের করা লিভ টু আপিলের কারণে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হয়নি। আজ লিভ টু আপিলগুলো খারিজ হওয়ায় তাদের ভর্তি নিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রইল এবং তাদের ভর্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।’
গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালায় সংশোধনী আনা হয়। সংশোধনীর ১৪ বিধি অনুসারে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ভর্তি করাতে পারবে। তবে আবেদনের সংখ্যা বেশি হলে ভর্তি কমিটি কর্তৃক লটারির মাধ্যমে ওই ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্বাচন করা যেতে পারে।
রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি–ইচ্ছুক এসব শিশুর সবার বোনই বর্তমানে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ছে।
সংশোধনীর আগের নীতিমালায় অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থীর সহোদর, সহোদরা বা যমজ ভাই-বোন যদি একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে, তবে ওই প্রতিষ্ঠানের ভর্তি যাচাই-বাছাই কমিটিকে তার ভর্তি নিতে বলা হয়েছে।
১৬ জানুয়ারি নীতিমালা সংশোধন করে বলা হয়, মোট আবেদনকারীর ৫ শতাংশ কোটা পাবে। অথচ শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য যখন আবেদন করেছিল, তখন কোটা ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে ভর্তির জন্য আবেদন করে বিফল হয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা নীতিমালার ১৪ বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট করেন।