ভৈরবে করোনা উপসর্গে আরো এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আরো এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় ব্যবসায়ীর মৃত্যু হলো ভৈরবে। তবে প্রথম মারা যাওয়া মাছ ব্যবসায়ী অমিয় চন্দ্র দাসের প্রতিবেদন এলেও দ্বিতীয় মৃত সবজি ব্যবসায়ী জানে আলম ওরফে শাহ আলমের প্রতিবেদন এখনো আসেনি।
মাছ ও সবজি ব্যবসায়ীর পর এবার করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন এক কাঠ ব্যবসায়ী (৭০)।
পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে ভৈরব উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহম্মদ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ওই ব্যবসায়ী জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আইআইআরডিসিআরের বিধান অনুসরণ করে দাফন-কাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া আজ শুক্রবার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁরা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। তাঁদের বাড়ি ও আশপাশের বাড়ি ঘরের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।‘
এর আগে ১৫ মে রাতে ভৈরব শহরের অমিয় চন্দ্র দাস নামের এক ব্যবসায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি উপসর্গ নিয়ে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর প্রতিবেদনে জানা যায়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
এর পর গত মঙ্গলবার জানে আলম ওরফে শাহ আলম মোল্লা (৩৮) নামের আরো এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তিনি একজন সবজি ব্যবসায়ী ছিলেন।