ভৈরবে মাদক বিক্রেতার দুই বছরের জেল ও অর্থদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জুম্মন মিয়া নামের এক মাদক বিক্রেতাকে দুই বছরের জেল ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও লুবনা ফারজানা। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জুম্মন মিয়া (২৫) নামের এক মাদক বিক্রেতাকে দুই বছরের জেল ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জুম্মন শহরের পলতাকান্দা গ্রামের মৃত জালাল মিয়ার ছেলে। তিনি ওই এলাকার পরিচিত মাদক বিক্রেতা বলে জানায় এলাকাবাসী।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আরেফিন জালাল রাজিব জানান, এলাকায় চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে আজ সোমবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসীকে নিয়ে ভৈরব মৎস্য আড়তের একটি পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে আমরা জুম্মনকে আটক করি। এ সময় তাঁর কাছে ১২ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানাকে জানালে তিনি পুলিশসহ এলাকায় হাজির হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযুক্তকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর জন্য পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও লুবনা ফারজানা জানান, খবর পেয়ে তিনি পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক জুম্মনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এ সময় জুম্মন উদ্ধারকৃত ইয়াবা তাঁর এবং তিনি ইয়াবা বিক্রির সঙ্গে জড়িত আছেন বলে স্বীকার করলে তাঁকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই শাস্তি দেওয়া হয়।

কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল-চেয়ারম্যান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মির্জা মো. সুলায়মানের নেতৃত্বে পৌরসভার ৯, ১০, ১১ এই তিন ওয়ার্ডে মাদক নির্মূল অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এলাকা থেকে মাদক নিরাময়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি সভা-সেমিনার করে মাদকের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলছেন। তাঁর এই কর্মসূচিকে সফল করতে পুলিশ প্রশাসনও অভিযান অব্যাহত রেখেছে।