ভৈরবে মা ইলিশ শিকারের দায়ে ৭ জেলেকে জেল-জরিমানা

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ শিকার করার দায়ে সাত জেলেকে আটক করে জেল-জরিমানার সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে চলমান সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকার করার দায়ে সাত জেলেকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে পাঁচজনকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ ও দুজনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক জেলেকে এই দণ্ডাদেশ দেন।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমান জানান, আজ সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত নৌপুলিশের সহযোগিতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানার নেতৃত্বে উপজেলার মৌটুপি, লুন্দিয়া, খলাপাড়া, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় মৎস্য বিভাগ। অভিযানে নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ শিকার ও কারেন্টজাল ব্যবহার করে মাছ ধরার অপরাধে সাত জেলেকে আটক এবং নদীতে মাছ শিকার করা অবস্থায় এক লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্টজাল উদ্ধার করা হয়।

পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক জেলে আবু বক্কর, বাক্কী মিয়া, ফরিদ মিয়া, ছাত্তার মিয়া ও কাউছার মিয়াকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং জেলে আতাউর রহমান ও সামসু মিয়াকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

উদ্ধার করা এক লাখ মিটার কারেন্টজাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এ সময় ইউএনও লুবনা ফারজানা সাংবাদিকদের জানান, ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান এই নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকার ও নিষিদ্ধ কারেন্টজাল ব্যবহার করার অপরাধে এসব জেলেকে আটকের পর মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ আইনের ১৯৫০ সালের আইনে তাঁদের এসব শাস্তি দেওয়া হয়।

সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময় আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকাসহ নিষিদ্ধ কারেন্টজাল ব্যবহার করে মাছ শিকার বন্ধে সারা বছর কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান ইউএনও।