মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে আজ রোববার। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। দিবসটি উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে নানা কর্মসুচি পালন করছে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মওলানা ভাসানীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন। আর এর মধ্যদিয়েই কর্মসুচির সূচনা হয়। এরপর ভাসানীর পরিবারের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মওলানা ভাসানীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে ভাসানীর ভক্ত অনুরাগী ও সাধারণ মানুষের ঢল নামে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও শামসুজ্জামান দুদু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস,বিএনপিনেতা ফজলুল হক মিলন ও গণস্বাস্থ্যের কাজী জাফরুল্লাহ।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তাঁর জীবনের সিংহভাগ সময়ই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তাঁর কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। সারা জীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তাঁর উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। স্বাধীনতার পর তাঁর সর্বশেষ কীর্তি ছিল ‘ফারাক্কা লং মার্চ।’