মনোনয়ন নিয়ে ফিরেই হামলার শিকার উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী

Looks like you've blocked notifications!
পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল হক বাবুর গাড়িবহরে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। ছবি : এনটিভি

মনোনয়ন নিয়ে এলাকায় ফিরেই হামলার শিকার হয়েছেন পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রেজাউল হক বাবু। আজ শনিবার সন্ধ্যায় বেড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার সিঅ্যান্ডবি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু ও তাঁর ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আব্দুল বাতেনের সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ দুলাল। এ সময় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলেও দাবি তাঁর।

আব্দুর রশিদ দুলাল জানান, বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের মৃত্যুতে শূন্য আসনে গতকাল শুক্রবার জাতসাখিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবুকে মনোনয়ন দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলের মনোনয়ন বোর্ড।

আব্দুর রশিদ দুলাল অভিযোগ করে বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়নপ্রাপ্ত বাবুকে নিয়ে আমরা আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা থেকে এলাকায় ফিরে আসি। সভানেত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় হাজারো জনতা কাজিরহাট ঘাটে দলের প্রার্থীকে বরণ করে নেয়। পরে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রেজাউল হক বাবু সদ্যপ্রয়াত চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের কবর জিয়ারত করার জন্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু ও তাঁর ভাই আব্দুল বাতেনের সমর্থক ময়ছের ও চৌদ্দর নেতৃত্বে আমাদের পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা রেজাউল হক বাবুর গাড়িসহ ৩০টি গাড়ি ভাঙচুর করে।’

দুলাল আরো বলেন, ‘তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আলফু খান, বাঁধন শেখ, মিরাজ হোসেন, তারেক, আলী ড্রাইভার, জুলহাস, আওয়াল মাস্টার, মনছের মোল্লা, আজাদ মুন্সী, স্বাধীনসহ অন্তত ১৫ জনকে আহত হয়। পরে স্থানীয় বাজারের লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

বেড়া উপজেলা পরিষদ উপনির্বচনে সদ্য মনোনয়নপ্রাপ্ত রেজাউল হক বাবু বলেন, ‘বড় দল হিসেবে দলের অভ্যন্তরে মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে। কিন্তু সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করে এমন হামলা মেনে নেওয়া যায় না। কাপুরুষোচিত এই হামলার বিচার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে বেড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শেখ জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজনের ওপর কতিপয় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছেন এবং কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। প্রার্থীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।’

প্রভাবশালী কারো দ্বারা পুলিশ প্রভাবিত নয়। অভিযোগের সত্যতা পেলে যে কারো বিরুদ্ধে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে জানান এএসপি।

এ বিষয়ে পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর সঙ্গে কথা বলতে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।