মসজিদে বিস্ফোরণ : প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর ছয় আবেদন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আর্থিক সহায়তাসহ ছয়টি আবেদন জানানো হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনের মাধ্যমে এ আবেদন জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর ছয় আবেদন হলো—ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা, স্বামীহারা মায়েদের সরকারের বিধবা ভাতার আওতায় আনা, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদের সংস্কার করে আবারও নামাজের ব্যবস্থা করা, মসজিদসংলগ্ন দুটি রাস্তা মেরামত করা, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
বিস্ফোরণে নিহত ইমামের ছেলে নাইমুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে বলেন, ‘আমরা তল্লা মসজিদে নিহত ও আহতদের সদস্যরা অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মনে জানাচ্ছি যে, আমরা স্বজন হারানো পরিবার এখনো চোখের পানি ফেলে যাচ্ছি। বর্তমানে আমাদের স্বজনহারা পরিবারের নিহত ও আহতদের অনেকেই সামর্থ্যহীন। কেউ কেউ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম কর্তাকে হারিয়েছে। তাতে বর্তমানে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে।’
‘নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের তালিকা করে উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান এবং এককালীন আর্থিক সহায়তা ভবিষ্যতে আমাদের ভরণপোষণ চালিয়ে নিতে সাহায্য করবে। আমরা আমাদের চাওয়া-পাওয়াগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারগুলোর নামের তালিকা আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করেছি।’
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন জানান, আর্থিক সহায়তা চেয়ে হতাহতের হিসাব আগেও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এখন হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে যে আবেদনটি আমার কাছে দেওয়া হয়েছে, সেটিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেব। আশা করি, হৃদয়বান প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।’