বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই মহামারিকে কাজে লাগিয়ে সরকার আরো জোরেসোরে বিরোধী দল ও ভিন্নমতকে উচ্ছেদ করার সামগ্রিক আয়োজনে ব্যস্ত রয়েছে। এর প্রমাণ করোনার এই মহাদুর্যোগকালেও অসহায় মানুষদের সাহায্য-সহযোগিতা করার মতো মানবিক কর্মকাণ্ডেও হামলা চালাচ্ছে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা। বিনা অপরাধে প্রশাসন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ গণমাধ্যম ও মুক্তচিন্তার মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিরতিহীনভাবে হেনস্থা করে যাচ্ছে।’

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। এতে তিনি ঢাকার বাড্ডা লিংক রোডে ত্রাণবঞ্চিত মানুষের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর উত্তর বাড্ডা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল বাশারকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়িত করার নিন্দা জানান।

পাশাপাশি বিএনপির মহাসচিব ফেনীর দাগনভুইয়ায় স্থানীয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে গরিব ও দুস্থ মানুষদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদানকালে ছাত্রদলের সদস্য নিলয় হাসান রবিনের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব করোনাভাইরাসের মরণছোবলের আশঙ্কায় শঙ্কিত। এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অসহায়, নিরন্ন ও ছিন্নমূল মানুষদের সহায়তা প্রদান করছে বিএনপিসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরই অংশ হিসেবে ফেনীর দাগনভূঁইয়া ইকবাল মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে গরিব মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় কলেজ ছাত্রদলের সদস্য নিলয় হাসান রবিনও উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের ত্রাণকাজে হামলা চালিয়ে নিলয় হাসান রবিনকে গুরুতর আহত করে।’

‘এদিকে ত্রাণ নিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের ঘটনায় বাড্ডা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল বাশারকে মিথ্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হয়। এসবের উদ্দেশ্য সরকার বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশা থেকে পিছু হটেনি।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারিতে একদিকে তারা যেমন ত্রাণসামগ্রী লুটপাটে ব্যস্ত, অন্যদিকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ত্রাণ কর্মকাণ্ডকে জুলুমের বাতাবরণে নানা কায়দায় বাধা দিচ্ছে। কারণ দুঃশাসন টিকিয়ে রাখলেই কেবল নিজেদের ব্যর্থতা ঢেকে রাখা যায়। এই মহাদুর্যোগেও সরকারের সামগ্রিক আচরণে তাদের অমানবিক মুখমণ্ডল আরো কুৎসিত হয়ে ফুটে উঠেছে।’