মহাস্থানগড়ের রাস্তায় পড়ে থাকা ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত
বগুড়ায় আইসোলেশনে থাকা চার রোগীর মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী বলেন, ‘বগুড়ায় আইসোলেশনে থাকা চারজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া এক কিশোরসহ মোট পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছিল। তবে উল্লেখিত রংপুরের সেই বাসিন্দা ছাড়া বাকিরা কেউ করোনায় আক্রান্ত নন।’
সিভিল সার্জন জানান, রংপুরের ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি পরীক্ষার পর গত বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়। কিন্তু তাঁর নমুনা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করা হবে এমন সিদ্ধান্তের কারণে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এত দিন ঘোষণা দেওয়া হচ্ছিল না। আইসোলেশনে নেওয়ার আগে তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জেনে যান। এ জন্য তাঁর সংস্পর্শে আসা পাঁচ চিকিৎসক, আট নার্সসহ মোট ১৬ জনকে গত শুক্রবার থেকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ওই রোগীকে আইসোলেশন সেন্টারের অন্য রোগীদের থেকে পৃথক রাখা হয়।’
সিভিল সার্জন বলেন, ‘করোনা শনাক্ত হয়নি, কিন্তু সন্দেহভাজন হিসেবে এর আগে যাদের বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছিল, সেগুলো প্রত্যাহার করা হবে।’
করোনা শনাক্ত না হওয়া সত্ত্বেও বাকি চারজনকে আইসোলেশনে রাখা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, ‘সেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
গায়ে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৮ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে ট্রাকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে জ্বরসহ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে ২৯ মার্চ ভোরে তিনি বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকায় নেমে যান। এরপর পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি ওই ব্যক্তি নিজেকে হৃদরোগী হিসেবে পরিচয় দিলে কর্তৃপক্ষ তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করায়। কিন্তু তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে পরদিন ৩০ মার্চ তাঁকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। গত ১ এপ্রিল অন্য রোগীর সঙ্গে তাঁর নমুনাও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।