মহেশখালীতে ওসি প্রদীপসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

Looks like you've blocked notifications!
টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। ফাইল ছবি

আলোচিত টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের মহেশখালীর আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিন বছর আগে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তির নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নে ২০১৭ সালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার (৪০) বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তখন প্রদীপ কুমার দাশ মহেশখালী থানার ওসি ছিলেন। এই মামলার আসামিদের মধ্যে প্রদীপ ছাড়াও আরো পাঁচজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এরা হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনিরুল ইসলাম, শাহেদুল ইসলাম ও আজিম উদ্দিন।

আজ বুধবার বিচারক আব্বাস উদ্দিন মামলাটির শুনানি করেছেন। তবে কোনো আদেশ দেননি বলে জানিয়েছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম। তিনি বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে আরো বলেন, ‘আদালত মামলাটির শুনানিতে আরো কিছু কাগজপত্র চেয়েছেন। সেগুলো বিকেলে জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা আদেশের অপেক্ষায় আছি।’

এই মামলার প্রধান আসামি মহেশখালীর হোয়ানকের কথিত জলদস্যু ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস চৌধুরী (৫৬)। পুলিশের ছয় সদস্য ছাড়া বাকি ২৩ আসামি ফেরদৌস বাহিনীর সদস্য বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।  

আবদুস সাত্তার হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব মাঝেরপাড়ার মৃত নুরুচ্ছফার ছেলে। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় আবদুস সাত্তারকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করেন বাদী হামিদা আক্তার।

এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে মহেশখালী থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ মামলা নেননি। ফলে বাদী তখন উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। তিনি হাইকোর্টে এ নিয়ে  রিট করেন। রিট পিটিশন নং-৭৭৯৩/১৭ মূলে ‘ট্রিট ফর এফআইআর’ হিসেবে গণ্য করতে আদেশ দেন বিচারক। সেই আদেশের আলোকে তিনি একই বছরের ১৭ জুলাই কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে লিখিত দরখাস্ত দেন। কিন্তু পুলিশ আবেদন আমলে নেয়নি বলে জানান হামিদা আক্তার।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তখন দাবি করা হয়, নিহত আব্দুস সাত্তার অস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন। যদিও স্ত্রী হামিদা খাতুনের ভাষ্যমতে, সাত্তার লবণচাষি ছিলেন।