মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ডলারে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০৪১ সাল নাগাদ জনগণের মাথাপিছু আয় ১২ হাজার মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হবে। তবে, দেশের এই অগ্রযাত্রায় যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএসএ) বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের এখানেই থেমে থাকলে চলবে না, ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। ২০৪১ সালের  মধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় যাতে ১২ হাজার মার্কিন ডলার হয়, আমাদের সেই লক্ষ্য স্থির করতে হবে এবং সেভাবেই পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই করোনার কারণে অনেক দেশ পিছিয়ে গেছে, আমরাও একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম। কিন্তু মানুষকে বুঝতে দেইনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দুর্যোগের মধ্যেও অর্থনীতির হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়েছে, অনেক সংস্থাই এ কথাটা বলছে বাংলাদেশ এখন ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। এর মাঝেও আমরা প্রায় পাঁচ ধাপ এগিয়েছি। এটাও কিন্তু কম কথা নয়।  কিন্তু এ কথাটাও মনে রাখবেন, যে যত বেশি সামনের দিকে দ্রুত এগোবেন তত বেশি চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। কারণ, অনেকেই তো আছে, যারা আমাদের স্বাধীনতা আসুক সেটাই চায়নি। কাজেই আমাদের অগ্রযাত্রাটা অনেকের পছন্দ হবে না, যারা স্বাধীনতার সময় আমাদের সমর্থন দেয়নি। কারণ, তারা  মনে করতে পারে তাদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু আমরা তা পারি।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশের মানুষ যে পারে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।’

প্রশাসনের নবীন বিসিএস কর্মকর্তাদের ২০৪১ সালের সৈনিক হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধশালী ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী জনগণকে উন্নত জীবন দেওয়ার দায়িত্ব তাদের রয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে আন্তরিক দেখেছেন।’

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় উচ্চ প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগঠনের মহাসচিব ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম আলম।