মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!

মাদক কারবারে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘মাদকপাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর থেকে কঠোরতম হতে হবে। মাদক কারবারে জড়িতদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। তাদের বর্জন করা না গেলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।’

কক্সবাজারে দেশের সবচেয়ে বেশি মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন সদর দপ্তর প্রশিক্ষণ মাঠে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।

বিজিবি জানায়, এর আগে এত বড় পরিসরে দেশের কোথাও এত বিপুল মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়নি। অনুষ্ঠানে গত তিন বছরে জব্দ করা মালিকবিহীন এক কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৫ পিস ইয়াবাসহ প্রায় ৫৩৩ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচ হাজার ৭৯৯ বোতল মদ, ৩৩ হাজার ৫৫৫ ক্যান বিয়ার, এক হাজার ৭৩৬ লিটার বাংলা চোলাই মদ, ১৫ দশমিক ৭৩২ কেজি গাঁজা, ১৮ হাজার ৭৫০ পাতা সেডিল ট্যাবলেট ও পাঁচ হাজার পাতা জোলিয়াম ট্যাবলেট।

কক্সবাজারে গত তিন বছরে মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ করা এক কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৫ পিস ইয়াবা ধ্বংস করা হয়েছে। ছবি : এনটিভি

অনুষ্ঠানের শুরুতে চেকপোস্টের কার্যক্রমের ওপর ডেমো ও রিজিয়নের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বিজিবি আরো জানায়, গত তিন বছরে ইয়াবা উদ্ধারের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রেখেছে বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের রামু সেক্টর। তারা তিন বছরে মোট তিন কোটি ১৬ লাখ ৭২ হাজার ৭৪৩ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে। বাংলাদেশের কক্সবাজার সীমান্ত পয়েন্ট দিয়েই মাদকের বড়ো চালানগুলো পাচার হয়ে আসে। তাই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি সদস্যদের এই সীমান্ত এলাকায় সবচেয়ে বেশি তৎপর থাকতে হয়। কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার চালান জব্দ করছে বিজিবি সদস্যরা।

২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর এই তিন বছরে এই সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আসা তিন কোটি ১৬ লাখেরও বেশি ইয়াবা জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা। এ ছাড়া আরো বিপুল মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বিজিবি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজেদুর রহমান।