মাদক পাচার প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মাদকদ্রব্য ও সাইক্লোট্রফিক সাসপেন্সের অবৈধ পাচার রোধে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়ালি পঞ্চম দ্বিপাক্ষিক সভা। ছবি : সংগৃহীত

মাদক পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একসঙ্গে কাজ করবে। মাদকের বিষয়ে এক দেশ অন্য দেশকে সার্বিক সহায়তা করবে। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একমতে পৌঁছেছে উভয় দেশ। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মাদকদ্রব্য ও সাইক্লোট্রফিক সাসপেন্সের অবৈধ পাচার রোধে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়ালি পঞ্চম দ্বিপাক্ষিক সভায় এসব বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং মিয়ানমারের সেন্ট্রাল কমিটি ফর ড্রাগ অ্যাবিউজ কন্ট্রোল বিভাগের কর্মকর্তারা। 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মধ্যে আরও বেশি আলোচনা আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ সময় মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের অভ্যন্তরে ও সীমান্তে মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি মিয়ানমারও গুরুত্ব দিয়ে থাকে। 

দুদেশের শান্তি স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সীমান্ত পথে মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্য গ্রহণ প্রতিরোধে উভয়দেশ একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। এ ছাড়া সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্য বহন প্রতিরোধে উভয় দেশের সার্বিক সহযোগিতার বিষয়েও একমত পোষণ করা হয়।

ভার্চুয়ালি দ্বিপাক্ষিক সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল ওয়াহাব ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংক কাস্টমসের প্রতিনিধিসহ ২০ জন অংশ নেন। 

এ ছাড়া মিয়ানমারের পক্ষে সেন্ট্রাল কমিটি ফর ড্রাগ অ্যাবিউজ কন্ট্রোলের প্রধান পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইন নেইংয়ের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য অংশ নেয়। করোনার কারণে সভাটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।