মাদক মামলায় নাসির ও অমি কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!
মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে গত ১৫ জুন আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছবি : ফোকাস বাংলা

মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস এই আদেশ দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি নাসিরউদ্দিন ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের পক্ষে আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ১৫ জুন নাসির ও অমিকে সাত দিন করে ও তিন নারী সহযোগীকে তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি। সেই রিমান্ডের আদেশের পরে গত ১৯ জুন তিন নারী সহযোগীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। অপরদিকে নাসিরউদ্দিন ও অমির রিমান্ড শেষ হলে আজ তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। 

চিত্রনায়িকা পরী মণির করা সাভার থানার মামলায় গত ১৪ জুন বিকেলে নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। নাসিরউদ্দিন ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, তিনি কুঞ্জ ডেভেলপার্সের চেয়ারম্যান এবং উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি।

এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৯ জুন রাতে চিত্রনায়িকা পরী মণি সাভারের বিরুলিয়ার তুরাগ নদের তীরে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে অমির সঙ্গে যান। সে সময় তাঁকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন ক্লাবের কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন মাহমুদ।

গত ১৩ জুন সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন পরী মণি। তিনি দাবি করেছেন যে, ছয়জন তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর গত ১৩ জুন রাত ১০টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

সংবাদ সম্মেলনে এই নায়িকা জানান, তিনি জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। নিজ বাসায় তিনি নিজেকে নিরাপদ বোধ করছেন না। ঘটনার পর ভোর রাতে বনানী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান এই অভিনেত্রী।

পরে সাভার থানা পুলিশ পরী মণির মামলা গ্রহণ করে। মামলার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ নাসিরউদ্দিন মাহমুদ, অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।