মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার নুরপুর গ্রাম থেকে লিবিয়ায় মানবপাচারের ঘটনায় রবিউল মিয়া (৪০) নামের এক মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানান।

রবিউল মিয়া রাজৈর উপজেলার নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা।

র‍্যাব বলছে, ঢাকার পল্টন মডেল থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় রবিউলের বিরুদ্ধে মানবপাচারের একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

র‍্যাব কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, একটি আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সদস্য বাংলাদেশ, লিবিয়া ও ইতালিতে অবস্থান করে মোটা অঙ্কের বেতনের চাকরিসহ বিভিন্ন মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে মানবপাচার করছে। উঠতি বয়সের অল্প শিক্ষিত নিম্নবিত্ত বেকার যুবকরাই মূলত তাদের প্রধান টার্গেট। প্রথম ধাপে চক্রটি যুকদের লিবিয়া পাঠায়। পরবর্তী ধাপে লিবিয়ায় বন্দিশালায় তাদের জিম্মি করে পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে শিকার হতে হয় অমানুষিক নির্যাতনের। টাকা পাওয়ার পর চক্রটি বিভিন্ন মাফিয়া চক্রের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় নৌকায় করে বন্দিদের ইতালির উদ্দেশে ছেড়ে দেয়। এ চক্রটি বাংলাদেশে অবস্থানকারী দালালদের মাধ্যমে ক্ষেত্র বিশেষে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ আদায় করে বলে র‌্যাব-৮ জানতে পারে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারীপুরের রাজৈর থানাধীন নূরপুর এলাকা থেকে রবিউল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাজুল ইসলাম আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। রবিউলের ছেলে সাজীব লিবিয়ায় অবস্থান করছে। ছেলে সজীবের সঙ্গে যোগসাজসে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পন্থায় রবিউল লিবিয়ায় মানবপাচার করতেন। তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ঢাকার পল্টন মডেল থানায় রবিউলকে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।