মাদারীপুরে শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে ভাঙচুর, আটক ১
মাদারীপুরে শিপন মাতুব্বর (৩০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আজ রোববার বিকেলে জেলা সদর হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন নিহতের স্বজনেরা। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রিপন মাতুব্বরকে (৩৮) আটক করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
নিহত শিপন সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার আলী মাতুব্বরের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার দুপুরে সদর উপজেলার খাগদীতে ইটবোঝাই একটি ট্রলি উল্টে গুরুতর আহত হন নির্মাণশ্রমিক শিপন। পরিবারের লোকজন তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের দোতলায় ভর্তি করা হয়। তার কিছু সময় পর শিপনের মৃত্যু হয়। এতে অক্সিজেন দিতে দেরি করার অভিযোগ তুলে হাসপাতালের দোতলায় ব্যাপক ভাঙচুর চালান নিহতের স্বজনেরা। এ সময় পুরুষ ওয়ার্ডের নার্সদের রুমের ভেতরে ঢুকে টেবিল ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়াও হাসপাতালের জানালা, দুটি ইসিজি মেশিন, অক্সিজেন মেশিন ভাঙচুর করা হয়। এতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অন্য রোগীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নিহতের বড় ভাইকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশ। তবে, দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চিকিৎসকরা।
ভর্তি হওয়া রোগীরা বলেন, তাৎক্ষণিক সাত-আটজন লোক এসে নার্সের রুমের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করে। পরে দায়িত্বরত নার্সরা দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে নিহতের ঘনিষ্টজন দরজা ভাঙচুর করে।
মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শিপন নামের রোগী আহত অবস্থায় হাসপাতালে এলে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর স্বজনেরা ফরিদপুর নিতে বিলম্ব করায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে নিহতের লোকজন হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। তাঁর চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি ছিল না। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ সত্য নয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কলের মাধ্যমে হাসপাতাল ভাঙচুরের বিষয়টি জানতে পারি। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে নিহতের বড় ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।