মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ। ছবি : এনটিভি

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা গতকাল বুধবার তাঁকে আটক করে চান্দিনা থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ডালিম কুমার মজুমদার এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাতে চান্দিনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

গ্রেপ্তার ইউসুফ দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চান্দিনার বেলাশ্বর গ্রামে অবস্থিত কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর মসজিদের ইমাম এবং ওই মসজিদের পাশে তাঁর প্রতিষ্ঠিত দারুল ইহসান তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দেড় বছর ধরে হাফেজ মো. ইউসুফের প্রতিষ্ঠিত বেলাশ্বর গ্রামের দারুল ইহসান তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্রী হিসেবে পড়াশোনা করে আসছে দুই বোন। তাঁদের বাবা প্রায় দুমাস আগে মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখতে পান প্রধান শিক্ষক ইউসুফ তাঁর এক মেয়ের বিছানায় শুয়ে আছেন। পরে তাঁর মেয়েকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন, তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক। পরে ওই ছাত্রীর বাবা মানসম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে মেয়েকে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে নিয়ে যান।

এরই মধ্যে গত সোমবার বিকেলে ওই ছাত্রীকে ফোন দিয়ে ফুসলিয়ে ঘর থেকে বের করে কুমিল্লায় নিয়ে যান ইউসুফ এবং ওই দিন রাতে নিজের বাসায় নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবারও ধর্ষণ করেন। পরদিন মঙ্গলবার ওই ছাত্রীকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান তিনি। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য দেবিদ্বার উপজেলার বাগুর গ্রামের লিটন সরকার নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার কাছে যান ইউসুফ। তবে লিটন সরকার পুরো ঘটনা জেনে স্থানীয়দের নিয়ে ইউসুফকে থানায় সোপর্দ করেন।